আচ্ছা ফুফুমনি আমি কি দেখতে বেশি খারাপ, আমি কি দেখতে একে বারেই পচা?
-না, একদমই না।আমার মেয়েটা খুব সুন্দর, রুপবতি,মায়াবী।
হঠাৎ এই প্রশ্ন?
হঠাৎ এই প্রশ্ন?
-আচ্ছা ফুফুমনি আমি যদি তুমাকে ফুফু আম্মু বলে ডাকি তাহলে কি তুমার কোন সমস্যা হবে,জড়িয়ে ধরে আদুরী গলায় বল্ল.......
-তুই আমাকে যেটা বলে ডাকবি আমি সেইটা শুনতে প্রস্তুত।
-আচ্ছা তুমি কি আমাকে সারাজীবন তুমার কাছে এই ভাবে আগলিয়ে রাখবে,আমাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিবে না তো।
-না তুকে আবার কোথায় পাঠাবো, তুই সারাজীবন আমার কাছে থাকবি.....
-তাহলে তুমার ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেওনা(খুব তারাতারি কথটা বলে জিব্বায় কামড় দিয়ে লজ্জায় মাথাটা নিছে নামিয়ে রাখল)
অনন্যা বেগম না হেসে পারলেননা, উচ্চসরে হেসে দিয়ে বললেন, পাগল মেয়ে বলে কি!!
এতই পছন্দ করিস বুঝি আমার ছেলেটাকে।
হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না,
এখন গিয়ে উনাকে ডেকে আসেন।
পরে দেখা যাবে,
আগে আপনি আরো বড় হন!!!!!!!
এতই পছন্দ করিস বুঝি আমার ছেলেটাকে।
হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না,
এখন গিয়ে উনাকে ডেকে আসেন।
পরে দেখা যাবে,
আগে আপনি আরো বড় হন!!!!!!!
পরী অনন্যাকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে এখান থেকে চলে গেল।
এতক্ষন যাদের মধ্যে কথা হলো তাদের একজন আরিয়ানের মা, আরেকজন আরিয়ানের মামাতো বোন পরী।
নামটা যেমন, পরী দেখতেও ঠিক তেমনি পরীর মত সুন্দর।
নামটা যেমন, পরী দেখতেও ঠিক তেমনি পরীর মত সুন্দর।
পরীর বয়স যখন তিন বছর তখন পরীর মা বাবা দুজনেই গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায়।
ফলে পরী এতিম হয়ে যায়।
তাই আরিয়ানের মা অর্থাৎ পরীর বাবার একমাত্র
বোন অনন্যা বেগম তার একমাত্র ভাইজি কে নিয়ে চলে আসে তার কাছে।
ফলে পরী এতিম হয়ে যায়।
তাই আরিয়ানের মা অর্থাৎ পরীর বাবার একমাত্র
বোন অনন্যা বেগম তার একমাত্র ভাইজি কে নিয়ে চলে আসে তার কাছে।
পরী আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলো।
পরীর বয়স এখন 14।
এবার ক্লাস নাইনে পড়ে। খুব মেধাবীর অধিকারী এই মেয়েটা।
পরীর বয়স এখন 14।
এবার ক্লাস নাইনে পড়ে। খুব মেধাবীর অধিকারী এই মেয়েটা।
পৃথিবীর অনেক কিছুই সে বোঝে। আরেকটা মজার ব্যাপার হল যে পরী এই বয়সে প্রেমে পড়েছে।
এ বয়সে প্রেম ভাবটাও তার ভিতরে চলে আসে এটাই স্বাভাবিক কারণ এখন তার উঠতি বয়স।
এই বয়সে তার আবেগ বেশি কাজ করে। শুধু তার না এই বয়সে সকল ছেলে মেয়েদের আবেগ একটু বেশি কাজ করে।
এই বয়সে তার আবেগ বেশি কাজ করে। শুধু তার না এই বয়সে সকল ছেলে মেয়েদের আবেগ একটু বেশি কাজ করে।
পরীও সে পথের পথিক। সে অন্য কারো নয় বরং সে প্রেমে পড়েছে তার একমাত্র ফুফাতো ভাই আরিয়ানের উপর।
অহহহ.... আপনাদেরকে তো বলাই হয়নি আরিয়ান টা আবার কে।
আরিয়ান হল এই গল্পের নায়ক। এবার অনার্স সেকেন্ড ইয়ার পরে সে।
পরীর থেকে 6 বছরের বড় সে।
আরিয়ান হল এই গল্পের নায়ক। এবার অনার্স সেকেন্ড ইয়ার পরে সে।
পরীর থেকে 6 বছরের বড় সে।
পরী অনেক ভাবে তাকে বুঝাতে চায় যে সে তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে কিন্তু আরিয়ান বুঝেও না বুঝার ভান করে চলে থাকে।
এবার মূল গল্পে আসা যাক...... ....
পরী আস্তে আস্তে পা টিপে আরিয়ানের রুমে প্রবেশ করলো
- ইস কি সুন্দর দেখতে। ঘুমের ভেতর ওর মুখটা খুব মায়াবী লাগছে মনে হয় হাজারো মায়া বর করে বসে আছে আমার.........
- ইস কি সুন্দর দেখতে। ঘুমের ভেতর ওর মুখটা খুব মায়াবী লাগছে মনে হয় হাজারো মায়া বর করে বসে আছে আমার.........
চশমাটা পরলে আরো অনেক কিউট লাগতো।
সবচেয়ে ভালো লাগে ওর খাড়া বোচা বোচা নাক টা। একটু সামনে গিয়ে ভালো ভাবে খেয়াল করে নিল আরিয়ান সজাগ কিনা, না এখনো গভীর ঘুমে বিভোর।
সবচেয়ে ভালো লাগে ওর খাড়া বোচা বোচা নাক টা। একটু সামনে গিয়ে ভালো ভাবে খেয়াল করে নিল আরিয়ান সজাগ কিনা, না এখনো গভীর ঘুমে বিভোর।
পরী জানে আরিয়ান ঘুমালে মরার মতো ঘুমায় এত সহজে ওঠে না তাই পরী যোপ বুঝে কোপ মারতে চাইল অর্থাৎ সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে চাইল।
পরী আস্তে আস্তে তার গোলাপি ঠোঁট দুটো আরিয়ানের
ঠোটের উপর আলতো ভাবে বসিয়ে দিল।
নিজের ইচ্ছে মতো তৃপ্তি মিটালো। তারপর গালে, চোখে, কপালে, নাকে, জামিতে চুমুতে ভরিয়ে দিল।
ঠোটের উপর আলতো ভাবে বসিয়ে দিল।
নিজের ইচ্ছে মতো তৃপ্তি মিটালো। তারপর গালে, চোখে, কপালে, নাকে, জামিতে চুমুতে ভরিয়ে দিল।
যখন আরিয়ানের নাকে আলতো ভাবে কামড় বসিয়ে দিল তখন আরিয়ান কিছুটা যেন নরে চরে উঠলো।
পরী স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আরিয়ানের শরীরে ধাক্কা দিতে লাগলো।
- ভাইয়া উঠনা আম্মু তোমাকে ডাকছে।
- ভাইয়া উঠনা আম্মু তোমাকে ডাকছে।
আরিয়ানের ঘুমটা ভেঙ্গে গেল........
-এই তোর কোন কাজ নেই খেয়ে দেয়ে, শুধু শুধু আমাকে বিরক্ত করছিস কেন? কিছুটা বিরক্তিভাব নিয়ে বলল।
-আমি কি আর সাদে আইছি আম্মু তো আমাকে পাঠালো তোমাকে ডাকতে।
- এই রাখ, রাখ,,, তুই কি বললি? তোর আবার আম্মু আসছে কোথায় থেকে। কিছুটা অবাক হয়ে বলল।
-কেন আবার,বাহরে ফুফুমনিই তো আমার আম্মু।
- আইছে আবার আম্মু বলতে, তোরে তো রাস্তার থেকে পেয়ে আনছে। তুইতো রাস্তার মাইয়া। আবার আইসোস আমার আম্মুরে আম্মু বলতে।
তোর তো সাহস কম না।
-এ্যা,,,,, নিজের আম্মু। তোমার তো সাহস কম না..... আমি 100 বার বলবো হাজার বার বলবো এইটা আমার আম্মু তাহলে তোমার কি? কোমরে হাত দিয়ে আঙ্গুল নাচিয়ে নাচিয়ে বলল।
- এই তুই আমারে কি বললি?
- কই? কি আবার বললাম.....
- এইতো একটু আগে তুই আমারে কি বলে ডাকলি।
- কেন তুমি করে বলছি,একটু ভাব নিয়ে।
- তোরে কতবার বলছি যে তুই আমার আপনি করে ডাকবি, আর তুই আপনি কইরা না বইলা তুই আমারে তুমি কইরা......
তুুরতো সাহস কম না, তুরে থাপড়াইতে থাপড়াইতে তোর দাঁত ফালাই দিমু। তুই মানুষ চেনোস, রেগে গিয়ে আরিয়ান বলল।
তুুরতো সাহস কম না, তুরে থাপড়াইতে থাপড়াইতে তোর দাঁত ফালাই দিমু। তুই মানুষ চেনোস, রেগে গিয়ে আরিয়ান বলল।
-আমি আপনি করে বলতে পারবোনা আমি তুমি করে বলবো তুমি......... তুমি........ তুমি...... তুমি
একশ বার বলব তুমি..... তুমি........ তুমি। চিৎকার করে বলল।
একশ বার বলব তুমি..... তুমি........ তুমি। চিৎকার করে বলল।
-এই তুই এখান থেকে গেলি...
-আমার ঠ্যাকা পড়ছে এখানে থাকতে আর আমি নিজের ইচ্ছাতে আসি নাই, এখানে আম্মু বলছে দেইখা আসছি। আর কয়দিন পরে তুমি এমনি আসতে বলবা কারন এটা আমার রুমও হবে কয়দিন পর।
- এই তুই কি বললি,তুর রোম মানে। দাঁড়া দাঁড়া পরী দাড়া বলছি, কই যাস।
আরিয়ান খাট থেকে উঠতেই পরী আর এখানে নেই, পরী উদাও।
আরিয়ান ফ্রেশ হতে চলে গেল।
- কিরে পরী রেগে আছিস কেন, অনন্য বেগম বলে উঠলো।
- তোমার ছেলেটা এমন কেন একটু ভালোভাবে কথা বলতে পারো না ধুর ভালো লাগে না কথাটা বলে পরী রেগে রুমে চলে গেল।
-এই পরী নাস্তা করে যা, কে শুনে কার কথা চলে গেল মেয়েটা।
কিছুক্ষণ পর আরিয়ান এসে বলল মা তাড়াতাড়ি নাস্তা দাও খিদে পেয়েছে।
- এতো বাবা দিচ্ছে।
নাস্তার টেবিলে সবাই বসে আছে শুধু একজন নেই আর সে হল পরি।
-পরী কই?
-জানিনা আরিয়ানের রুম থেকে বের হয়ে এসে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের রুমে চলে গেছে।
-পরী..পরী...এই পরী আরে নাস্তাটা করে যানা মা, আরিয়ানের বাবা বলে উঠলো।
-আমি খাব না ভাইয়া আমাকে শুধু শুধু বকা দেয়। আগে সরি বলতে বলো, রুমের ভেতর থেকে জোরে কথাটা বেসে আসলো।
কি ব্যাপার এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন? ঠিক আছে যাইতাছি দাঁতে দাঁত লাগিয়ে কিড়মিড় করতে করতে চলে গেল পরীর রুমে আরিয়ান।
আফজাল সাহেব হলেন আরিয়ানের বাবা। অনন্যা বেগম ও আফজাল সাহেব পরীকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
নিজের মেয়ের মত। কারণ তাদের কোনো মেয়ে নেই। এটাই তাদের একমাত্র মেয়ে।
নিজের মেয়ের মত। কারণ তাদের কোনো মেয়ে নেই। এটাই তাদের একমাত্র মেয়ে।
তারা দুজনেই ঠিক করে রেখেছেন পরী আরেকটু বড় হলে আরিয়ানের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে কিন্তু আরিয়ান তা জানে না।
অনন্যা বেগম ও আফজাল সাহেব জানেন যে পরী কি রকম পছন্দ করে, কতটা পছন্দ করে, কতটা ভালোবাসে আরিয়ানকে।
কিন্তু আরিয়ান তার বিপরীত আরিয়ান দুচোখেই পরীকে দেখতে পারে না তাছাড়া আরিয়ানের গার্লফ্রেন্ড আছে,
তারা দুজনকে দুজন খুব ভালোবাসে,
একজনকে ছাড়া আরেকজন এক মুহুর্ত ও থাকতে পারেনা।
এতটাই একজন আরেকজনকে ভালোবাসে...........
তারা দুজনকে দুজন খুব ভালোবাসে,
একজনকে ছাড়া আরেকজন এক মুহুর্ত ও থাকতে পারেনা।
এতটাই একজন আরেকজনকে ভালোবাসে...........
আরিয়ান পরীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
-এই পরী দরজা খোল।
- দরজা খোলা আছে।
আরিয়ান দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো
- নাস্তা খেতে আয়।
-আগে সরি বলো।
-সরি,
বিরক্ত ভাব নিয়ে আরিয়ান মুখটা বেঁকে বললো।
বিরক্ত ভাব নিয়ে আরিয়ান মুখটা বেঁকে বললো।
- এইভাবে না সুন্দরভাবে বলো।
- কিরকম ভাবে বলতে হবে, পরী আমি না খুব সরি, তোমার সাথে আর খারাপ ব্যবহার করবো না, তুমি না খুব ভালো মেয়ে, মুখটা বাকিয়ে অভিনয় করতে করতে আরিয়ান বললো।
পরী কিছুটা খুশি হয়ে বলল,
-এইত এখন ঠিক আছে।
-এইত এখন ঠিক আছে।
-আচ্ছা ভাইয়া শোনো।
- হুম বল কি বলবি বিরক্ত ভাব নিয়ে বললাম।
- তুমি না দেখতে খুব কিউট। অনেক সুন্দর তুমি,তুমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে,
তোমার নাকটা না খুব সুন্দর, কিরকম বোচা বোচা।মনটা চায় ইচ্ছে মতো টিপে দেই।
তোমার নাকটা না খুব সুন্দর, কিরকম বোচা বোচা।মনটা চায় ইচ্ছে মতো টিপে দেই।
পরীর কথা শুনে না হেসে পারলাম না।
জোরে জোরে হাসতে লাগল হা...... হা..... হা।
জোরে জোরে হাসতে লাগল হা...... হা..... হা।
-তুমি হাসতেছ কেনো?
- তোর কথা শুনে। তুই এইটুকু একটা পিচ্চি মেয়ে তোর এত আবেগ কোথা থেকে আসে আল্লাহ ভালো জানেন।
আয় নাস্তা করতি আয়।
তাড়াতাড়ি কথাটা বলে চলে আসলাম।
আয় নাস্তা করতি আয়।
তাড়াতাড়ি কথাটা বলে চলে আসলাম।
- আরিয়ান ভাইয়া তুমি বুঝনা কেন, তোমায় আমি কতটা ভালোবাসি কতটা পছন্দ করি তা তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। মনে মনে পরী বলতে লাগলো।
নাস্তা খাওয়ার পর........
অনন্যা বেগম ও আফজাল সাহেবের আদেশ পরীকে প্রতিদিন স্কুলে দিয়ে আসা।
কিছুক্ষণ পর......
- এই পরী রেডি হয়েছিস।
-এইতো হয়ে গেছি,
ফুফু আম্মু আসি।
ফুফু আম্মু আসি।
-যা দেখে শুনেন যাস।
- আম্মু ফুফা কই?
- অফিসে চলে গেছে।
- এই পরী তাড়াতাড়ি কর না আমার ভার্সিটিতে যেতে দেরী হয়ে যাবে। আমি জোরে কথাটা বলে উঠলাম।
- হুম চলো।
বাইকটা স্টার্ট দিলাম। পরী পিছে বসে পড়লো।
হঠাৎ করে পরী জোরে জড়িয়ে ধরল।
হঠাৎ করে পরী জোরে জড়িয়ে ধরল।
-কিরে এভাবে জড়িয়ে দরলি কেন?
- আমার ভয় করেনা বুঝি, (একটু বনিতা করে বললো)
- তোর আবার ভয়।
আমি জানি এখন যদি ওর সাথে আরো কথা বলি তাহলে আরও কথা পেছাবে। মেয়েদের একটা অভ্যাস। তাই আমি আর কথা না বলে নিজের গতিতে বাইক চালাতে লাগলাম।
পরীর স্কুলের গেটের সামনে এসে থামলাম। পরী বাইক থেকে নেমে গেল আর আমি বাইক নিয়ে চলে এলাম আমার ভার্সিটিতে।
-কিরে পরী কেমন আছিস।
- খুব ভালো। তোর কি খবর?
- হুম ভালো। পরী একটা কথা বলি মাইন্ড করবি না তো।
-না বল।
-তোর বরটা কিন্তু অনেক জোস রে।
পরী হাসি দিয়ে বলে,
- দেখতে হবে না বর টা কার।
- দেখতে হবে না বর টা কার।
- আচ্ছা পরী এটা সিক্রেট কথা বলি।
-বল।
-তোদের মাঝে কি এখনো কিছু হয়েছে (দুস্টমির হাসি দিয়ে)
পরী কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল,
-তুই কি বুঝাতে চেয়েছিস।
-তুই কি বুঝাতে চেয়েছিস।
- আরে বুঝস না, ওই যে বিয়ের পর সবার যেটা হয় আর কি!!!!!!
পরী সায়মার মাথায় একটা বাড়ি মারলো,
তোর এত কিছু জেনে শুনে লাভ কি এটা আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার, বেশি কথা না বলে চল ক্লাসে যাই।
তোর এত কিছু জেনে শুনে লাভ কি এটা আমাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার, বেশি কথা না বলে চল ক্লাসে যাই।
এতক্ষণ পরীর সাথে যার কথা হলো সে হলো পরীর বেস্ট ফ্রেন্ড সায়মা। সায়মা জানে যে পরী ও আরিয়ান স্বামী স্ত্রী।
আর এই কথাটা পরী সায়মা কে বলেছে
পরী আরিয়ানকে পাগলের মতো ভালোবাসে এটা জানে সায়মা।
আর এই কথাটা পরী সায়মা কে বলেছে
পরী আরিয়ানকে পাগলের মতো ভালোবাসে এটা জানে সায়মা।
ভার্সিটিতে এসে মেঘা কে খুজতে লাগলাম,
মেয়েটা গেল কই এখানে তো থাকার কথা।
যাই আম গাছটার নিজে দেখে আসি। ওই তো মেঘা বসে আছে।
মেয়েটা গেল কই এখানে তো থাকার কথা।
যাই আম গাছটার নিজে দেখে আসি। ওই তো মেঘা বসে আছে।
মেঘার পাশে গিয়ে বসলাম।
মেঘা আমার দিকে তাকালো,আমি ওর আরো পাশ ঘেসে বসলাম।
মেঘা আমার পাশে থেকে একটু দূরে গিয়ে বসলো। কি ব্যাপার মেঘা দূরে চলে গেলে কেনো। মনে হয় রাগ করেছে কারণ আমি তিরিশ মিনিট লেট।
গাল মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। মনে হয় অভিমান করেছে।
মেঘা আমার দিকে তাকালো,আমি ওর আরো পাশ ঘেসে বসলাম।
মেঘা আমার পাশে থেকে একটু দূরে গিয়ে বসলো। কি ব্যাপার মেঘা দূরে চলে গেলে কেনো। মনে হয় রাগ করেছে কারণ আমি তিরিশ মিনিট লেট।
গাল মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। মনে হয় অভিমান করেছে।
আমি আরো পাশ ঘেসে এসে বসলাম। মেঘা বসা থেকে উঠে চলে যেতে লাগল তখন আমি ওর হাতটা ধরে ফেলি।
- কি ব্যাপার এমন করছো কেন? সরি তো.... আর কখনো লেট হবে না, এই দেখো কানে ধরছি(দুই হাত কানে ধরে)
- কি ব্যাপার এমন করছো কেন? সরি তো.... আর কখনো লেট হবে না, এই দেখো কানে ধরছি(দুই হাত কানে ধরে)
-হইছে আর কানে ধরতে হবে না একটু হেসে দিয়ে বললো।
আমার চকলেট কই?
আমার চকলেট কই?
- এইতো এই নাও চকলেট।
চকলেট টা বাড়িয়ে দিলাম।
চকলেট টা বাড়িয়ে দিলাম।
চকলেট টা হাতে নিয়ে খেতে লাগলো। আর আমি ওর খাওয়া দেখছি, কি রকম বাচ্চা মেয়েদের মত করে খাচ্ছে। শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
-এইভাবে তাকিয়ে থেকো না নজর লেগে যাবে।
- তাহলে একটু দিলেই তো পারো।
-এ্যা...... উনি আইসে আমার চকলেটের ভাগ বসাইতে।
আমি আমার চকলেট কাউকে দিই না।
(চকলেটা টা অন্যদিকে ঘুরিয়ে)
আমি আমার চকলেট কাউকে দিই না।
(চকলেটা টা অন্যদিকে ঘুরিয়ে)
-প্লিজ এমন করো কেন? দাওনা।
- আর তো নাই, সব খেয়ে ফেলেছি। শুধু মুখে আছে খাবে।
-ওয়াক ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি বলে!!!!!!
-এই তুমি ছিঃ ছিঃ বললা কেনো? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।
মেঘা আশে পাশে একটু চেয়ে নিল। তারপর দুই হাত দিয়ে আমার মাথাটা ধরে আমার মুখে ওর ঠোঁট দুটো ঢুকিয়ে দিলো।
তারপর ওর মুখের ভেতর যে চকলেট গুলো ছিল সেগুলো আমার মুখের ভিতর জোর করে দিয়ে দিলো। কি আর করা উপায় না পেয়ে খেয়ে নিলাম। সাথে করে ওর কাছ থেকে মিষ্টি ও খেয়ে নিলাম।
এটা আমার টেকনিক ওকে বোকা বানিয়ে........
- চলনা আজকে কোথাও ঘুরে আসি।
-কোথায় যাবে?
- ওই যে ওই নদীর পাড় টা।
- যথা আজ্ঞা মহারানী চলেন যাওয়া যাক।
নদীর পাড়ে একজন আরেকজনের হাত ধরে হাটছি।
হঠাৎ মেঘা হাঁটা বন্ধ দিয়ে বলল,
-আচ্ছা আরিয়ান তোমাকে একটা প্রশ্ন করি?
হঠাৎ মেঘা হাঁটা বন্ধ দিয়ে বলল,
-আচ্ছা আরিয়ান তোমাকে একটা প্রশ্ন করি?
-হুম, যা বলার বলে ফেল।
- তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো।
আমি ওর প্রশ্ন শুনে খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম।
আহত দৃষ্টি নিয়ে আমার প্রশ্নের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে সে।
আহত দৃষ্টি নিয়ে আমার প্রশ্নের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে সে।
- হঠাৎ এ প্রশ্ন?
- আমার মনে হয় তুমি আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছ। আচ্ছা আমার এমন মনে হয় কেন? মনে হয় কেউ আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিচ্ছে, আমি না কখনো তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না এক মুহূর্ত না।
তোমাকে নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।
তোমাকে ছাড়া প্রত্যেকটা মুহূর্তে কেমন শূন্য শূন্য লাগে।
তোমাকে ছাড়া প্রত্যেকটা মুহূর্তে কেমন শূন্য শূন্য লাগে।
তুমি যদি আমাকে ছেড়ে চলে যাও তাহলে আমি বেঁচে থাকব না কারন আমার বাঁচার ইচ্ছাটাই চলে যাবে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
প্লিজ কখনো আমাকে ছেড়ে যেও না তাহলে আমি বাঁচতে পারব না।
প্লিজ কখনো আমাকে ছেড়ে যেও না তাহলে আমি বাঁচতে পারব না।
মেঘা আমাকে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বলতে লাগলো আর অঝর ধারায় কাদতে লাগলো। শরীরের সব শক্তি দিয়ে আমাকে জোরে জড়িয়ে ধরলো।
মনে হয় ছেড়ে দিলই আমি চলে যাব। আমিও ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
হঠাৎ মাথাটা উঠিয়ে বলল,
-আমাকে বিয়ে করবে, এক্ষুনি আমাকে বিয়ে করবে..... (চলবে)
-আমাকে বিয়ে করবে, এক্ষুনি আমাকে বিয়ে করবে..... (চলবে)
0 Comments