__আপনার স্ত্রী আপনাকে পরিত্যাক্ত কেন করলো? (ডাক্তার আজমীর)
__আমি তার যোগ্য ছিলাম না। (পেশেন্ট)
__কেন? কী কমতি ছিলো আপনার মাঝে?
__আমি তাকে সময় দিতামইনা।
__শুধু এতটুকু কারন?
__না কখনো তার দিকে মুগ্ধতার চোখে তাকাইনি।
__আর?
__তার মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে কখনো চুমো খাইনি। তার তীব্র ইচ্ছা হত কপালে চুমো নিবার কিন্তু আমাকে তার ঠোঁট আর কোমরে ভাজ বেশি আককর্ষন করত।
__আর?
__তাকে সেক্সটয় ব্যাতীত কখনো কিছু ভাবিনি। যখন ইচ্ছা তার শরীরটাকে ব্যবহার করেছি, শরীরের আঁকা বাঁকা ভাজ গুনেছি, কোমরের মাপ নিয়েছি কিন্তু কখনো তার মনের গভীরতা মাপতে যাইনি।
__এ কথাগুলো আপনাকে সে বলছে নাকি আপনি অনুভব করছেন?
__অনুভব করছি।
__আপনার স্ত্রী চলে যাবার পর?
__নাহ্। সে নির্জীব, নির্লিপ্ত হয়ে যাবার পর। একদম মৌন হয়ে গেছিল। তারপরও দাঁত কামরে পড়ে ছিলো।
__তাহলে সে হঠাৎ চলে কেন গেলো?
__তাকে অন্য কেউ রোদের হাতছানি দিয়েছিলো। যে প্রেম পিপাসিত ছিলো, তাকে সামান্য প্রেমের হাতছানি দিলে সে কি লুটিয়ে নিবেনা!
__তাহলে আপনি কেন নতুন প্রেমের খোঁজ করছেন না?
__সে যাবার পর বুঝেছি নিজেকে নিয়ে এতটা ব্যস্ত ছিলাম যে, তার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে দাম দেইনি। সে যখন তালাক নামায় সই করে চলে গেলো তখন তার কমতি ধীরে ধীরে অনুভব করতে লাগলাম। যাবার আগে সে একটা কথা বলে গেছিলো,
__কী?
__যখন আমি তোমার চোখে মুগ্ধতা দেখতে চাইতাম তখন পেতাম না। কিন্তু তোমার কামনার সময় তুমি ঠিকই আমাতে মুগ্ধ হতে তবে কেন, আমার অনুভূতিতে মুগ্ধ হতেনা। শত চেয়েও আমি কেন তোমাতে মুগ্ধ হতে পারলাম না। আর কিছু বলেনি, পিছু ফিরে তাকায়নি সে। তবে যাবার সময় কেন জানি সে বারবার তার চোখ মুছছিলো। এটা কি মায়া নাকি মুগ্ধতা?
__মায়া! কারণ আপনার মুগ্ধতা তার মন ছুয়ে দিতে পারেনি। আপনি তাকে মুগ্ধ করতে পারেননি। বহু দিন আপনার সাথে থাকায় আপনার প্রতি তার মায়া হয়ে গেছিলো।
__তবে কেন সে রোজ স্বপ্নে এসে আমায় জ্বালায়?
__কারন আপনার করা অন্যায় আপনাকে ঘুমতে দেয়না। আপনার রোগটা কী তাতো বললেন না?
__এই যে, তাকে কেন আমার প্রতি মুগ্ধ করতে পারেনি? সে চিন্তা আমায় ঘুমতে দেয়না।
__কারন আপনি নিজে তার প্রতি মুগ্ধ হননি। নিজে মুগ্ধ না হয়ে অন্যকে মুগ্ধ করা সম্ভব না।
__আচ্ছা আপনি কি কারো প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন?
কথাটা শুনে চমকে উঠলাম। খানিকসময় নীবর ছিলাম।
নার্স এসে রায়হান সাহেবকে নিয়ে গেলো। গত সাত মাস যাবত রায়হান সাহেব এর মানুসিক চিকিৎসা চলছে। অথচ আজ তার কথায় মনে হলনা সে পাগল। সে আমাদের মত সুস্থ মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে কিছু দেখিয়ে গেলো।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত ১১:৪৭ মিনিট। আচ্ছা সাথী কি এখন ঘুমিয়ে পড়ছে? বহুদিন ওকে মুগ্ধতার চোখে দেখা হয়না। আজ রায়হান সাহেবের ভিতর যেনো নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পেলাম। কথাগুলো ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠলো।
নার্স এসে রায়হান সাহেবকে নিয়ে গেলো। গত সাত মাস যাবত রায়হান সাহেব এর মানুসিক চিকিৎসা চলছে। অথচ আজ তার কথায় মনে হলনা সে পাগল। সে আমাদের মত সুস্থ মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে কিছু দেখিয়ে গেলো।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত ১১:৪৭ মিনিট। আচ্ছা সাথী কি এখন ঘুমিয়ে পড়ছে? বহুদিন ওকে মুগ্ধতার চোখে দেখা হয়না। আজ রায়হান সাহেবের ভিতর যেনো নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পেলাম। কথাগুলো ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠলো।
২!!
ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ি চলে এলাম। রোজকার মত নিজের চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে গেলাম। পুরো ঘরময় অন্ধকার। হঠাৎ অজানা ভয়ে বুকটা কম্পিত হয়ে উঠলো। মোবাইল এর টর্চটা জ্বালিয়ে সোজা বেডরুমে গেলাম কিন্তু সাথীকে পেলাম না। খাবার রুমে গিয়ে দেখলাম টেবিলে মাথা দিয়ে সাথী ছোট বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে আছে। রাত অনেক হয়েছে, হয়ত আমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে। সাথীর মাথায় হাত রেখে ডাক দিতেই ধরপরিয়ে উঠে দাড়ালো। বলল,
__বসো খেতে দিচ্ছি।
ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ি চলে এলাম। রোজকার মত নিজের চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে গেলাম। পুরো ঘরময় অন্ধকার। হঠাৎ অজানা ভয়ে বুকটা কম্পিত হয়ে উঠলো। মোবাইল এর টর্চটা জ্বালিয়ে সোজা বেডরুমে গেলাম কিন্তু সাথীকে পেলাম না। খাবার রুমে গিয়ে দেখলাম টেবিলে মাথা দিয়ে সাথী ছোট বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে আছে। রাত অনেক হয়েছে, হয়ত আমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে। সাথীর মাথায় হাত রেখে ডাক দিতেই ধরপরিয়ে উঠে দাড়ালো। বলল,
__বসো খেতে দিচ্ছি।
আমি চেয়ারটা টেনে সাথীকে বসিয়ে আমি ফ্লোরে বসে ওর হাতদুটো হাতের মুঠোয় নিয়ে বললাম,
__চলোনা আজ লাম্পপোষ্টের নিয়ন আলোয় পিচঢালা রাস্তায় ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াই। দূর রাস্তায় টিপটিপ আলো জ্বলতে থাকা টং দোকানে গিয়ে এককাপ চা দুজনে ভাগ করে খাই।
হাতে হাত রেখে আঙুলে আঙুল ডুবিয়ে মাঝ রাতে জোৎস্না চষে বেড়াই।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত তুমি যখন কাঁধে মাথা এলিয়ে দিবে। তখন তোমায় কোলে নিয়ে নাহয় হাঁটবো আমি। তবে শর্ত একটাই তোমার মাথাটা কিন্তু আমার বুকে এলানো থাকতে হবে।
__চলোনা আজ লাম্পপোষ্টের নিয়ন আলোয় পিচঢালা রাস্তায় ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়াই। দূর রাস্তায় টিপটিপ আলো জ্বলতে থাকা টং দোকানে গিয়ে এককাপ চা দুজনে ভাগ করে খাই।
হাতে হাত রেখে আঙুলে আঙুল ডুবিয়ে মাঝ রাতে জোৎস্না চষে বেড়াই।
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত তুমি যখন কাঁধে মাথা এলিয়ে দিবে। তখন তোমায় কোলে নিয়ে নাহয় হাঁটবো আমি। তবে শর্ত একটাই তোমার মাথাটা কিন্তু আমার বুকে এলানো থাকতে হবে।
সাথী অপলক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হয়ত চিন্তা করতে পারেনি তার রসকষহীন ডাক্তার বরটা এমন কিছু বলবে। তাই বোধয় বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে আছে।
৩!!
রাত কটা ঠিক বলতে পারবো না। আমি সাথীর হাত ধরে হাঁটছি। ওর দিকে তাকাতেই আজ আমি বারবার মুগ্ধ হচ্ছি। নতুন অনুভূতির খোঁজ পাচ্ছি। এক আলাদা অনন্দ্য খুশি ওর চোখে মুখে ছেঁয়ে আছে। লোকে বলে ডাক্তার রোগীদের চিকিৎসা করে কিন্তু কখনো কখনো রোগীরাও ডাক্তারদের চিাকৎসা করে। বিশেষ করে মনের চিকিৎসা। জীবনে কিছু কিছু শিক্ষা তারা দিয়ে যায়।
রাত কটা ঠিক বলতে পারবো না। আমি সাথীর হাত ধরে হাঁটছি। ওর দিকে তাকাতেই আজ আমি বারবার মুগ্ধ হচ্ছি। নতুন অনুভূতির খোঁজ পাচ্ছি। এক আলাদা অনন্দ্য খুশি ওর চোখে মুখে ছেঁয়ে আছে। লোকে বলে ডাক্তার রোগীদের চিকিৎসা করে কিন্তু কখনো কখনো রোগীরাও ডাক্তারদের চিাকৎসা করে। বিশেষ করে মনের চিকিৎসা। জীবনে কিছু কিছু শিক্ষা তারা দিয়ে যায়।
কোথাও না কোথাও আমিও রায়াহান সাহেবের মত হয়ে গেছিলাম। কিন্তু আমার কপাল ভালো যে আমি রায়হান সাহেবকে পেয়ে নিজের ভুল শুধরানোর সুযোগ পেয়েছি। আজ সাথীর চোখে আমি মুগ্ধতার সন্ধান পেয়েছি। ওর ঠোঁট দুটো কাঁপছে কিছু বলতে চাইছে বোধয়। কিন্তু চোখ দুটো অদ্ভুদ বিস্ময়ের নজড়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম
__কী দেখছো?
__কী দেখছো?
__আজ তোমার চোখে মুগ্ধতার সন্ধান পেয়েছি।
হাতে হাত রেখে দুজন হেঁটে বেড়াচ্ছি। গন্তব্য একে অপরের মাঝে মুগ্ধতার সন্ধান করা।
আমরা বড় বড় খুশির দিকে নজড় দিতে গিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে, ছোট ছোট খুশিগুলোকে হেলায় ফেলেদি। কিন্তু জীবন সুখী হয় ছোট ছোট সুখ থেকেই। ছোট ছোট খুশির মাঝেই মুগ্ধতার সন্ধান পাওয়া যায়।
সমাপ্ত
#বিঃদ্রঃ উক্ত গল্পের সমস্ত কাহিনী, চরিত্র, স্থান সম্পূর্ণ কাল্পনিক। যদি কারো জীবনের সাথে মিলে যায় বা কেউ আঘাত পায় তবে আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে গল্পকে গল্প হিসাবে নিবেন। গল্পকে বাস্তব জীবনের সাথে মিশাবেন না। ধন্যবাদ।
0 Comments