আমার বন্ধু পল্লব দেখতে মাশাল্লা যে কোন তামিল হিরু থেকে কম যায় না।
ওর কাছে অলটাইম ৬ /৭ হাজার টাকা থাকে।
ত পল্লব ফেইসবুকে প্রেমে পরছে।
মেয়ে ছবি দেখালো দেখতে সেই।
দেখতে পুরাই বিরিয়ানি।
যদিও পরের সম্পদ তাই আর আগ্রহ দেখাই নাই তার ব্যাপারে।
তো কয়েক দিন পরে পল্লব ফোন দিয়ে বলল।
পল্লব: মামা কই? তর ভাবি চলে আসছে রে।
পল্লব: মামা কই? তর ভাবি চলে আসছে রে।
আমিতো পুরাই অবাক। দৌড়ে রান্না ঘরে যেয়ে দেখি ভাবি আর মা কি কাজ করছে।
দিলাম শালারে এক ঝাড়ি
-তুই মজা নিয়ার টাইম পাস না হালা ভাবি বাসায় কাজ করছে। তুই মজা লস এই সকালে।
-তুই মজা নিয়ার টাইম পাস না হালা ভাবি বাসায় কাজ করছে। তুই মজা লস এই সকালে।
পল্লব: আরে অই দিন যে তরে বললাম মেয়ের কথা! সে দেখা করবে তুই আয় মামা।
আমি : দেখ ভাই মজা নিস না ত সকাল বেলা।
আমি পারুম না। তয় ফ্রি খাওয়াইলে ব্যাপার ভিন্ন।
আমি পারুম না। তয় ফ্রি খাওয়াইলে ব্যাপার ভিন্ন।
পল্লব : তুই আয় এক বার সব খরচ আমার।
আমি: তুই দাড়া আমি আইতাসি।
আমি: তুই দাড়া আমি আইতাসি।
লেইট করে ঠিকানা যেয়ে দেখি মেয়ে তো আসছে সাথে আর ৩টা ফ্রেন্ড ও সাথে নিয়া আসছে।
পল্লব ত খুশি মেয়ে না কি সেই ফ্যামিলি প্লেন করে নিছে।
শালার কপাল বলতে হবে।
এমন মেয়ে পেয়েছে দুধের সাথে পুরাই ফজলি আমের মিক্সড।
শালার কপাল বলতে হবে।
এমন মেয়ে পেয়েছে দুধের সাথে পুরাই ফজলি আমের মিক্সড।
ত সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো হায় হ্যাল দিয়ে কথা শুরু করলাম।
খাওয়া শুরু করল আমি সফট ড্রিংক নিলাম।
আর মেয়ে গুলার খাবার খাওয়া দেখছি কি রাক্ষসীর মত খাচ্ছে।
আমি শুধু শুধু ডেকুর তুলে যাচ্ছি।
খাওয়া শুরু করল আমি সফট ড্রিংক নিলাম।
আর মেয়ে গুলার খাবার খাওয়া দেখছি কি রাক্ষসীর মত খাচ্ছে।
আমি শুধু শুধু ডেকুর তুলে যাচ্ছি।
খাওয়া শেষ হলো বিল আসল ৯ হাজার এর মতো।
আমি মনে মনে কয়েক টা গালি দিয়ে বললাম শালা যে টাকা বিল হইসে সে টাকা দিয়ে পুরা এলাকা মেজবানি খাওয়াইতে পারতাম।
- রায়হান ভাই ২ টা হাজার টাকা দে না খুব চাপে আছি।
বেচারার মুখ দেখে পুরাই লুল হয়ে গেছে। বেচারার টাকা দিলাম ধার।
পিছনদিক থেকে বাবু বলে দিলো ডাক বুঝলাম।
বন্ধু আমার হাতের ফোন যে বিক্রিয়ক করে যাবে না তার গ্যারান্টি নাই।
-বাবু আজ ত আমি গাড়ি আনি নাই তুমি উবার ডেকে দিবা।
অত:পর উবার ডেকে ভাড়াও দিয়ে দিলো।
আমি : শালা এটা এই মেয়ে কই পাইলি?
মেয়ে তো না যেনো পুকুর।
আমি : শালা এটা এই মেয়ে কই পাইলি?
মেয়ে তো না যেনো পুকুর।
পল্লব : হালা টাকা ধার নিয়েছি বলে এই সব বলবি যা টাকা দিয়ে দিবো তবু তর ভাবিরে নিয়া কথা কবি না।
২ দিন পর আন্য নাম্বার থেকে কল আসল ফোন ধরতেই পল্লব কান্নাকাটি করে বলছে মামা খুব বিপদে পরছি তুই তারা তারি জিতুমিয়ার পয়েন্টে আয়।
২ দিন পর আন্য নাম্বার থেকে কল আসল ফোন ধরতেই পল্লব কান্নাকাটি করে বলছে মামা খুব বিপদে পরছি তুই তারা তারি জিতুমিয়ার পয়েন্টে আয়।
বাসায় ছিলাম তাই এলাকার ভাই ব্রাদার্স গুলারে নিয়া ছুটলাম।
দেখি বেচারা একটা কোনায় বসে আছে
আমি : ব্যপার কি রে? কান্না করছিলি কেন?
পল্লব : মামা নীলা মানে তর ভাবিরে নিয়া এই দিকে আসছিলাম। হঠাৎ সে বলল কাকে জানি ফোন দিবে তাই আমার ফোন নিয়ে গেলো।
আমি : তার পরে তার পরে?
পল্লব:তার পর দেখি সে একটা বাইকের পিছনে বসে চলে গেলো।
আমি : তুই এখন এই কথা বলিস না মেয়ে তর আইফোন এক্স নিয়া গেছে।
পল্লব : (কান্না করতে করতে) হয়।
আমি : ফোন দিছিলি?
পল্লব : হয় বন্ধ। কিন্তু অর নিজের নাম্বার নাই।
আমি : কেন কেন।
পল্লব :আসলে অরে আমি একটা সিম রেজিস্টেশন করে দেই।
আমি : এবার শালা বাশ খাঁ সাধ মিটছে নাকি আরো কিছু বাকি আছে?
পল্লব : ধুর মামা মজা করিস না তো আর।
আমি : আসলে তরে বলে কি লাভ এই গুলা
ফেসবুকের প্রেমের উপর ভরসা নাই। দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনেক গুটিবাজি করে প্ল্যান করে এই কাজ করে থাকে। কাজ শেষ হলেই আপনি ব্লক।
পল্লব : ধুর মামা মজা করিস না তো আর।
আমি : আসলে তরে বলে কি লাভ এই গুলা
ফেসবুকের প্রেমের উপর ভরসা নাই। দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনেক গুটিবাজি করে প্ল্যান করে এই কাজ করে থাকে। কাজ শেষ হলেই আপনি ব্লক।
তো বন্ধু আমার নতুন ফোন কিনছে এই ঘটনায় ভালোই শিক্ষা পাইছে
আসলে দিন শেষে আমরা ভুলে যাই। আমাদের আশেপাশের মানুষ কে আমরা কতটুক ছিনি জানি?
সুযোগ পেলে একটা সময় পাশের মানুষ গুলো বাশ দিয়ে দেয়, আর এখানে তো অনলাইন প্রেম।
সুযোগ পেলে একটা সময় পাশের মানুষ গুলো বাশ দিয়ে দেয়, আর এখানে তো অনলাইন প্রেম।
দিন শেষে একটা কথাই মাথায় ঘুরে
(ধুপধাপ বিশ্বাস করা হারাম। কপালে থাকলে নছিবে এমনি আসবে)
0 Comments