জানেন? "রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক" এখন ৩ সন্তানের পিতা? অথচ, দুদিন আগেই তাকে নিয়ে আমরা কি হাসি তামাশা করলাম, কত ট্রোল করলাম তাকে নিয়ে৷ সবাই বললাম, মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস। কিন্তু সেই দেখিয়ে দিয়েছি। শুধু দেখায়নি, জমজ বাচ্চার পিতাও সে। "ড. মাহফুজুর রহমান" তাকে এমনভাবে পচানো হয়েছে যে, অনেকেই মাহফুজুর রহমান নামটাকে গালি মনে করে। (কেউ, আপনাকে গান শুনানোর পর যদি বলেন, মাহফুজুর রহমানের চেয়ে ভালো গেয়েছো, সাথেসাথে দেখবেন তার চাঁদ মুখ কালো মেঘে ঢেকে যাবে।) অথচ, এই মাহফুজুর রহমানের পিছনের কাহিনী কেউ জানেনা। কতটুকু লাঞ্চনা পেয়ে সে এখানে, তার খবর কেউ রাখেনা। ড. মাহফুজুর রহমানের অনেকগুলো গুন রয়েছে, তার প্রত্যেকটা কাজ সে নিজের হাতে করে, এমনকি নিজেই নিজের চুল কাটে। এইদিক দিয়ে সে আইডল হবার যোগ্যতা রাখে। হিরো আলম (আশরাফুল আলম সাঈদ)। অভাবের অনটনের কারণে ছোট বেলায় অন্য একটু পরিবারের হাতে তুলে দেয় তার পরিবার। কিছুদিন পর সেই পরিবারেও দারিদ্রতার চাপ। তারপর ছোট আলম নিজেই লেগে যায় জীবিকা নির্বাহের কাজে। সিডি ব্যবসা লোকসানের দিকে ঠেলে দিলেও আলম ঘুরে দাঁড়িয়েছে ডিসের ব্যবসায়। সখের বশে তৈরি করেছে ৩০০০+ মিউজিক ভিডিও। শিক্ষনীয় কিছু পেলেন? সিফাত উল্লাহ (ওরফে সেফুদা)। আমাদের নতুন আবিষ্কার। আহারে, বেচারার পাছায় বেত দিয়ে ট্রস ট্রস মারা। তারপর, মদ খেয়ে মানুষ হওয়া। এগুলোই পরিচয় করিয়ে দিলো পুরো বাংলায়। জানেন? বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সে একজন মুক্তিযোদ্ধা। ঢাবির সাবেক শিক্ষক! তবে কেন এমন মাতলামো করেন? নিজের সৃষ্টি নিজ চোখে নষ্ট হতে দেখলে কয়জনই বা ঠিক থাকে বলতে পারেন? হ্যাঁ, তার সৃষ্টি এই বাংলাদেশ এইভাবে নষ্ট হচ্ছে দেখেই সে মাতলামো করে। অথচ, আমাদের কাছে সে ট্রলের পাত্র। তারপর। তারপর, এই বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে বিতর্কিত কথা বললাম বলে আমাকে নিয়েও বিতর্ক শুরু করবেন দয়াকরে। চোখ মেলে খোঁজে দেখেন, আনাচেকানাচে। শত হিরো আলম, মাহফুজুর রহমানরা আছে। যাদের কাজগুলো হাস্যকর, তামাশাময় বটে। ট্রল বন্ধ করুন, কাজের রহস্যটা দেখুন ঘেটে।