ঘটনাটা নিতান্তই অদ্ভুত বলা যায় । সেদিন দুপুরবেলা রাস্তা দিয়ে হাটার সময় চোখে পরে আমার অবাক করা একটা দৃশ্য। ৪/৫ টা মেয়ে একটা ছেলেকে খুব পেটাচ্ছে । মেয়েদের পড়নে জিন্স শার্ট প্যান্ট। হাতে হকি স্টিক - চোখে কালো গ্লাস। ছেলেটা পিটুনি খেয়ে বলছেন ' আপা আর ভুল করব না এবারের মত ছেড়ে দেন আমায়!!
- - আমি অবাক হয়ে পাশের চায়ের দোকানে গিয়ে বসলাম। দোকানের নাম মন্টু মিয়া চায়ের দোকান। দোকানদার ভাইয়ের চোখ মেয়েদের দিকে। আমি আস্তে করে বললাম' ভাই কাহিনী কি? এই মেয়েরা কারা!! দোকানদার ভাই আমার কথা শুনে বললেন ' চুপ! আস্তে কথা বলেন!! এটা ইরা গ্যাং । সব কয়টা মাস্তান । চাঁদাবাজ ও বলতে পারেন। দোকানদার ভাই কথা শেষ করার সাথে সাথে ইরা গ্যাং এসে হাজির আমাদের সামনে। আমি চুপ করে বসে আছি। দোকানদার ভাই বললেন ' ইরা আপা এই নেন ঠান্ডা মুখ ধুয়ে নেন আপা। তখন একটা মেয়ে সামনে এগিয়ে বোতল হাতে নিয়ে চোখ থেকে গ্লাস খুলল। আমি বুঝতে পারলাম এই মেয়ের নাম ইরা। মাস্তানদের লিডার। তবে মাস্তান হলে কি - এত সুন্দর মায়া মাখা মুখ আমি আগে দেখিনি। আমি হা করে তাকিয়ে আছি। আমার মাঝে ভয় কাজ করছে না। আমার হা দেখে একটা মেয়ে আমার সামনে এসে বলল ' এই মিয়া কার দিকে তাকান - চোখ নামান। আমি মেয়েরটা কথা না শুনে তাকিয়েই আছি। আমার সাহস দেখে দোকানদার ভাইয়ের মাথায় হাত। কয়েকটা মেয়ে রাগ করে আমার সামনে আসলো। হাতে তাদের হকি স্টিক। তখন ইরা ওদের থামিয়ে দিল। ইরা বোতল রেখে - আমার সামনে এসে বলল ' কি সমস্যা? আমি কথা বলতে যাব 'তখনি ইরার একটা ফোন কল আসে আর ইরা ওর বাইক নিয়ে চলে যায়।
আমি শান্ত। এই এলাকায় নতুন এসেছি। এখানে আসার কারণ বাবার চাকরি। আমার লেখাপড়া এখনো শেষ হয়নি। আমারা রোড নং৪ বাসা নং AB এর উপর তলা ভাড়া নিয়েছি। বাড়িওয়ালা ভীষণ রাগী মানুষ। কথার মাঝে সব সময় রাগ কাজ করে। উনার দুটা কুকুর ও আছে। পাহারাদার কুকুর। নাম রং, সং। কুকুরের এমন আজব নাম আমি আগে শুনিনি। বাড়িওয়ালা আংকেলের একটা ছেলে আছে নাম আকাশ। আমারা এই বাসায় আসার পর থেকে ওর সাথে আমার এক প্রকার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে বলা যায়। রাতে বসে আছি ছাদে। চিন্তা করছি ইরার কথা। এমন মায়া মাখা মুখ আমি আগে দেখিনি! প্রথম দেখায় আমি ওর প্রেমে পরিনি - আমি ওকে ভালবেসে ফেলছি। জীবনের এতটা সময় পার করলাম - কাউকে ভাল লাগলো না আর শেষমেষ মাস্তান মেয়েকে ভাল লাগলো!! কি কপাল আমার। তবে বাবা মা কি এই মাস্তান মেয়েকে নিজের ছেলের বউ বলে মেনে নিবেন? আমি ইরাকে নিয়ে চিন্তা করছি তখন আকাশ আসলো ছাদে। আকাশের হাতে ঠান্ডা স্প্রাইট। আমার কাছে এসে বলল কি করিস এখানে? স্প্রাইট খাবি? আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম ' ভাই এই ইরা মেয়েটা কেমন রে?
আকাশ আমার দিকে তাকিয়ে বলল ' ভাল তবে নামকরা মাস্তান - খুব ভয়ংকর। এলাকার সব ছেলের পা হাত একবার হলেও ভেঙেছে এই মেয়েটা।
আমি : তোর পা হাত ও কি ভাঙছে?
আকাশ : আমার না। আমি তো ভাল ছেলে - আপুকে দেখলে ১০০ হাত দূরে থাকি। আচ্ছা তুই এই ইরার কথা কেন জিজ্ঞেস করছিস হঠাৎ করে?আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম' ভাই সত্যি বলতে আমি প্রথম দেখাতে ' ইরার প্রেমে পড়ে গেছি।
আকাশ আমার দিকে তাকিয়ে বলল ' ভাল তবে নামকরা মাস্তান - খুব ভয়ংকর। এলাকার সব ছেলের পা হাত একবার হলেও ভেঙেছে এই মেয়েটা।
আমি : তোর পা হাত ও কি ভাঙছে?
আকাশ : আমার না। আমি তো ভাল ছেলে - আপুকে দেখলে ১০০ হাত দূরে থাকি। আচ্ছা তুই এই ইরার কথা কেন জিজ্ঞেস করছিস হঠাৎ করে?আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম' ভাই সত্যি বলতে আমি প্রথম দেখাতে ' ইরার প্রেমে পড়ে গেছি।
- - আমার কথা শুনে আকাশ স্প্রাইট গলায় আটকে গেল। কাশতে কাশতে বলল ' মাথা খারাপ তোর। পা আগে ভাঙবে তারপর হাত। আমি বললাম ' ভাই সব ভেঙে ফেলুক সমস্যা নাই। চলনা, একটু ইরার বাসার নিচে থেকে ঘুরে আসি। আমার কথা শুনে আকাশ ছাদ থেকে লাফ দিতে যাচ্ছে - আমি ওকে আটকালাম। আকাশ আমার দিকে তাকিয়ে বলল ভাই আমি ঘুমাবো" যাই!! আমি আকাশের কথা না শুনে জোর করে ধরে নিয়ে গেলাম ইরার বাসার নিচে।
রাত ১২ টা। আকাশের পা কাঁপছে ভয়ে। আমি তাকিয়ে আছি বারান্দার দিকে। আশেপাশে কেউ নেই। কয়েকটা কুকুর দূর থেকে চেঁচামেচি করছে। আমি শিস বাজাচ্ছি। বেশ কয়েকবার বাজিয়েছি কিন্তু কোন সাড়া নেই। আমি আবার ও শিস বাজাচ্ছি উপরের বারান্দার দিকে তাকিয়ে। তখন আমার কাঁধে কে বার বার আস্তে করে ধাক্কা দিচ্ছে। আমি মনে করলাম আকাশ ভয়ে এইসব করছে - তখন আকাশের উপর রাগ করে পিছনে তাকিয়ে দেখি আকাশ নেই। আমার সামনে ইরা। হাতে আবার হকি স্টিক ও আছে। আমি আমার পায়ের দিকে তাকালাম' মানে ভেঙে গেছে কি না সেটা দেখতে। আমার হা করা দেখে ইরা বলল ' নাম কি? আমি বললাম' আমি শান্ত এই এলাকায় নতুন।। ইরা: হ্যা নতুন সেটা বুঝতে পারছি কিন্তু সমস্যা কি??
- - আমি দাঁত বের করে হাসি দিয়ে বললাম ' না মানে চাঁদ দেখি। ইরা রাগ করে হকি স্টিক এক হাত থেকে অন্য হাতে নিয়ে বলল ' চাঁদ দেখে শিস বাজাতে হয়?? আর আমার বারান্দায় চাঁদ আছে নাকি? আমি বুঝতে পারলাম আমি ফেঁসে গেছি। বিপদকাল মাথায় কোন বুদ্ধি আসছে না! চিন্তা করে করে মাথায় হাতিয়ে বললাম ' আপনার পিছনে ঐটা কি? ইরা পিছনে ঘুরে তাকাতেই আমি পগাড় পার। এক দৌড়ে বাসায়। আল্লাহ বেঁচে গেছি।
রাত ১২ টা। আকাশের পা কাঁপছে ভয়ে। আমি তাকিয়ে আছি বারান্দার দিকে। আশেপাশে কেউ নেই। কয়েকটা কুকুর দূর থেকে চেঁচামেচি করছে। আমি শিস বাজাচ্ছি। বেশ কয়েকবার বাজিয়েছি কিন্তু কোন সাড়া নেই। আমি আবার ও শিস বাজাচ্ছি উপরের বারান্দার দিকে তাকিয়ে। তখন আমার কাঁধে কে বার বার আস্তে করে ধাক্কা দিচ্ছে। আমি মনে করলাম আকাশ ভয়ে এইসব করছে - তখন আকাশের উপর রাগ করে পিছনে তাকিয়ে দেখি আকাশ নেই। আমার সামনে ইরা। হাতে আবার হকি স্টিক ও আছে। আমি আমার পায়ের দিকে তাকালাম' মানে ভেঙে গেছে কি না সেটা দেখতে। আমার হা করা দেখে ইরা বলল ' নাম কি? আমি বললাম' আমি শান্ত এই এলাকায় নতুন।। ইরা: হ্যা নতুন সেটা বুঝতে পারছি কিন্তু সমস্যা কি??
- - আমি দাঁত বের করে হাসি দিয়ে বললাম ' না মানে চাঁদ দেখি। ইরা রাগ করে হকি স্টিক এক হাত থেকে অন্য হাতে নিয়ে বলল ' চাঁদ দেখে শিস বাজাতে হয়?? আর আমার বারান্দায় চাঁদ আছে নাকি? আমি বুঝতে পারলাম আমি ফেঁসে গেছি। বিপদকাল মাথায় কোন বুদ্ধি আসছে না! চিন্তা করে করে মাথায় হাতিয়ে বললাম ' আপনার পিছনে ঐটা কি? ইরা পিছনে ঘুরে তাকাতেই আমি পগাড় পার। এক দৌড়ে বাসায়। আল্লাহ বেঁচে গেছি।
পরের দিন আর আকাশের দেখা পেলাম না। দুপুরবেলা রাস্তা দিয়ে হাটছি তখন চিন্তা করছি খুব একটা বেঁচে গেছি কালকে রাতে। কিন্তু না এই ভাবে ভয় পেলে চলবে না। ভয়কে জয় কারাই শান্তর কাজ । তারপর থেকে প্রায় রাতে আমি ইরার বারান্দার নিচে গিয়ে শিস বাজাতাম আর ইরা বারান্দায় বা নিচে আসার আগেই - পগাড় পার হতাম। এই ভাবে মাস্তান মেয়েকে আমি উত্যক্ত করতে থাকলাম। মেয়েটা আমার এই ইভটিজিং সহ্য করতে না পেরে সে দিন রাগেফুলে আমার খোঁজ করেছে মন্টু ভাইয়ের কাছে।
- - সে দিন দুপুরবেলা যখন মন্টু ভাইয়ের দোকানে যাই তখন মন্টু ভাই - আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন! আমি দুবার চা দেওয়ার কথা বললাম ' কিন্তু চা পেলাম না। আমি বললাম ' কি ভাই চা দিবেন না? মন্টু ভাই তখন আমার দিকে তাকিয়ে বললেন' না চা দেওয়া যাবে না। ইরা আপা না করছে আপনার কাছে চা বিক্রি করতে। আমি মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে অবাক!!
- - এই এলাকায় এইটাই ভালো চায়ের দোকান আছে - কিন্ত এখানেও চা পেলাম না!! আমি চা না পেয়ে সিগারেট খেয়ে বাসায় ফিরলাম। রাস্তার পাশে বাড়িওয়ালা আংকেল দাঁড়িয়ে আছেন। সাথে উনার পাহারাদার কুকুর। রং, সং!! কুকুর দুটি আমার দিকে তাকিয়ে হা করে আছে। আমি বুঝতে পারলাম - আমায় কামড়ানোর ইচ্ছা জেগেছে ওদের মনে। বাসায় এসে বসে আছি রুমে। পাশের রুমে মা গল্প করছেন পাশের বাসার আন্টির সাথে 'আর আমি চিন্তা করছি ইরার কথা। তখন পকেট থেকে ফোন বার করে ইরাকে মেসেজ করলাম। নাম্বার জোগাড় করেছি ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে।
- - এই এলাকায় এইটাই ভালো চায়ের দোকান আছে - কিন্ত এখানেও চা পেলাম না!! আমি চা না পেয়ে সিগারেট খেয়ে বাসায় ফিরলাম। রাস্তার পাশে বাড়িওয়ালা আংকেল দাঁড়িয়ে আছেন। সাথে উনার পাহারাদার কুকুর। রং, সং!! কুকুর দুটি আমার দিকে তাকিয়ে হা করে আছে। আমি বুঝতে পারলাম - আমায় কামড়ানোর ইচ্ছা জেগেছে ওদের মনে। বাসায় এসে বসে আছি রুমে। পাশের রুমে মা গল্প করছেন পাশের বাসার আন্টির সাথে 'আর আমি চিন্তা করছি ইরার কথা। তখন পকেট থেকে ফোন বার করে ইরাকে মেসেজ করলাম। নাম্বার জোগাড় করেছি ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে।
এই ভাবে আমি ইরার পিছনে পরে থাকি। মেসেজ করি - বারান্দার নিচে গিয়ে শিস বাজাই - রাস্তায় পিছনে পিছনে ফলো করি। আমি বুঝতে পারলাম ' ইরা আমার পাগলামি দেখে আমার প্রতি আস্তে আস্তে দুর্বল হচ্ছে। মানে আমার প্রেমে পরছে আস্তে আস্তে করে 'সেটা বলা যায়। ইরা এখন মন্টু ভাইকে বলে দিছে আমার কাছে চা বিক্রি করতে। সে দিন - মন্টু ভাইকে আমি সিগারেট দেওয়া কথা বলায় মন্টু ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ' সিগারেট খেলে শরীর খারাপ করবে। নেন চা খান। আমি হা করে তাকিয়ে আছি মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে!! মন্টু ভাই আমার দিকে তাকিয়ে তখন বললেন' হা করার কিছু নেই এই সব ইরা আপার কথা। ইরা আপা বলছেন ' আপনার কাছে সিগারেট বিক্রি না করতে।
- - মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে আমি মহা খুশি। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা মাস্তান হলে কি হবে - আমার খেয়াল রাখে দেখছি। এই ভাবে দিন কাটতে লাগল। দুদিন পর এক রাতে আমি খাবার খেয়ে ইরার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছি। রাত ১২ টা। শিস বাজাচ্ছি বারান্দার দিকে তাকিয়ে কিন্তু আজ আর ইরার কোন সাড়া পাচ্ছি না!! আমি মনে করলাম ইরা হয়তো ঘুমিয়ে গেছে। আমার মন খারাপ হয়ে গেল - আজ আর ইরাকে দেখতে পারলাম না!! আমি মন খারাপ করে যেমনি পিছনে ঘুরলাম তখনি দেখি ইরা আমার সামনে। আমার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে ইরা গ্যাং এর সব মেয়েরা। সাবার হাতে হকি স্টিক। ইরা আমার কলারে ধরে বলল ' সমস্যা কি? আমি ওর মায়া মাখা চোখে তাকিয়ে বললাম' চাঁদ দেখি। ইরা তখন হাতে হকি স্টিক নিয়ে বলল ' সত্যি কথা বলেন এখানে কি? আমার বারান্দার দিকে তাকিয়ে শিস বাজান কেন? আমাকে দেখার জন্য?
- - আমি ইরার রাগ মাখা চোখের ভেতরে দেখতে পাচ্ছি মিষ্টি ইরাকে। আমি বুঝতে পারলাম ইরা আমার মুখ থেকে ভালবাসি তোমায় 'এই কথা শুনতে চায়।।
- - আমি ইরার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম ' ইরা আমি আমি। ইরা বলল ' হ্যা বলেন। আমি বললাম ' ইরা আমি আমি আমি। ইরা বলল ' প্লিজ বলেন। আমি বললাম ' ইরা আমি আমি তোমার মতন পেত্নীকে দেখার জন্য এখানে আসি না। আয়নাতে নিজের মুখ দেখছ? পেত্নী একটা ।
ইরা : What !! আমি বললাম ' সরো।
- - এই বলে ইরাকে সরিয়ে চলে যাচ্ছি। ইরা রাগে ফুলছে ওর চোখে জল এসে গেছে। আমি হেটে হেটে যাচ্ছি আর চিন্তা করছি ওকে একটু কাঁদাবো রাগাবো তারপর না হয় ভালবাসি বলল।
- - মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে আমি মহা খুশি। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা মাস্তান হলে কি হবে - আমার খেয়াল রাখে দেখছি। এই ভাবে দিন কাটতে লাগল। দুদিন পর এক রাতে আমি খাবার খেয়ে ইরার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছি। রাত ১২ টা। শিস বাজাচ্ছি বারান্দার দিকে তাকিয়ে কিন্তু আজ আর ইরার কোন সাড়া পাচ্ছি না!! আমি মনে করলাম ইরা হয়তো ঘুমিয়ে গেছে। আমার মন খারাপ হয়ে গেল - আজ আর ইরাকে দেখতে পারলাম না!! আমি মন খারাপ করে যেমনি পিছনে ঘুরলাম তখনি দেখি ইরা আমার সামনে। আমার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে ইরা গ্যাং এর সব মেয়েরা। সাবার হাতে হকি স্টিক। ইরা আমার কলারে ধরে বলল ' সমস্যা কি? আমি ওর মায়া মাখা চোখে তাকিয়ে বললাম' চাঁদ দেখি। ইরা তখন হাতে হকি স্টিক নিয়ে বলল ' সত্যি কথা বলেন এখানে কি? আমার বারান্দার দিকে তাকিয়ে শিস বাজান কেন? আমাকে দেখার জন্য?
- - আমি ইরার রাগ মাখা চোখের ভেতরে দেখতে পাচ্ছি মিষ্টি ইরাকে। আমি বুঝতে পারলাম ইরা আমার মুখ থেকে ভালবাসি তোমায় 'এই কথা শুনতে চায়।।
- - আমি ইরার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম ' ইরা আমি আমি। ইরা বলল ' হ্যা বলেন। আমি বললাম ' ইরা আমি আমি আমি। ইরা বলল ' প্লিজ বলেন। আমি বললাম ' ইরা আমি আমি তোমার মতন পেত্নীকে দেখার জন্য এখানে আসি না। আয়নাতে নিজের মুখ দেখছ? পেত্নী একটা ।
ইরা : What !! আমি বললাম ' সরো।
- - এই বলে ইরাকে সরিয়ে চলে যাচ্ছি। ইরা রাগে ফুলছে ওর চোখে জল এসে গেছে। আমি হেটে হেটে যাচ্ছি আর চিন্তা করছি ওকে একটু কাঁদাবো রাগাবো তারপর না হয় ভালবাসি বলল।
এলাকার নামকরা মাস্তান মেয়ে ইরা। সে দিন রাতে যখন ইরা আমার কলারে ধরে বলেছিল 'প্রতিদিন রাতে আমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে বারান্দার দিকে তাকিয়ে কি দেখন?? আমি তখন বলেছিলাম তোমার মতন পেত্নীকে দেখার জন্য তোমার বাসার নিচে আসি না। ইরা আমায় ভালবাসে মনে মনে' তাই আমার এই কথা শুনে রাগে ফুলতে থাকে আর ওর চোখে জল চলে আসে। আমি এইসব কান্না পাত্তা না দিয়ে বাসায় এসে চিৎপটাং হয়ে ঘুম দিলাম।
- - পরের দিন দুপুরবেলা আমার আকাশের সাথে দেখা। আকাশ আমাদের বাড়িওয়ালা আংকেলের ছেলে। আমার কাছের বন্ধু বলতে পারেন। আকাশ আমায় দেখে এগিয়ে এসে বলল কোথায় যাস? আমি বললাম ' চা খাব। আমি আর আকাশ রাস্তা দিয়ে হাটছি। যাচ্ছি মন্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে তখন দেখি ইরা আর কয়েকটা মেয়ে একটা ছেলেকে খুব পেটাচ্ছে।ছেলেটা পিটুনি খেয়ে বলছে ' আপা আর ভুল করব না এবারের মতন মাফ করে দেন। ছেলেটার পিটুনি দেখে আকাশের পা কাঁপছে। আমি গিয়ে দাঁড়ালাম ইরার সামনে। ছেলেটা আমায় দেখে দৌড়ে এসে পিছনে লুকিয়ে বলল ' ভাইজান বাঁচান আমায়। আমি তাকিয়ে আছি ইরার দিকে। ইরাকে এই এলাকার সবাই ভয় পায় কারণ " ইরা এই এলাকার নামকরা মাস্তান গ্রুপ ইরা গ্যাং এর লিডার। সবাই ভয় পেলেও আমি ভয় পাই না। কারণ আমি ইরাকে ভালবাসি। ইরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে - হাতে ওর হকি স্টিক!! আমি আকাশ আর ঐ ছেলেকে চলে যেতে বললাম ওরা আমার কথা শুনে ভয়ে পালালো। আমি তখন ইরার সামনে এসে হাত থেকে হকি স্টিক নিয়ে বললাম' আয়নাতে মুখ দেখছ তোমার? তুমি ছেলে না মেয়ে কোনটা??
ইরা আমার কথা শুনে রাগে ফুলছে। আমার কথা শুনে ইরা গ্রুপের সব মেয়ে হা করে আছে!! যে ইরার চোখের দিকে তাকিয়ে এলাকার কোন ছেলে কথা বলতে পারে না " সেই ইরাকে আমি এইসব বলছি!! ইরা চুপ করে আছে। আমি ইরার চুলে হাত দিয়ে বললাম ' এইটা চুলে না অন্য কিছু?? কালকে থেকে এইসব মাস্তানি করতে দেখলে তোমার হকি স্টিক দিয়ে তোমার পা ভাঙব আগে। বেয়াদব মেয়ে!! ইরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে - অনেক রাগ হচ্ছে ওর কিন্তু আমায় কিছু বলতে পারছে না। আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমায় সত্যি অনেক ভালবাসে। আমি ইরার মায়া মাখা চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম ' এইসব কি কাপড় পরছো? বাসায় শাড়ি নেই পেত্নী । ইরা আমার রাগ দেখে চুপ করে আছে। এত দিন ইরা সবাইকে বকা দিত আর এখন ওকেই একটা ছেলে বকা দিচ্ছে!!
- - ইরা ওর বন্ধুদের সাথে চলে গেল। আমি বসে আছি পাশের মন্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে। আকাশ আর মন্টু ভাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মন্টু ভাই আমার হাতে বেশি করে দুধ মাখা চা দিয়ে বললেন ' ভাইজান আপনি জাদু জানেন!! ইরা আপাকে এই ভাবে বকা দিলেন আর আপা আপনাকে কিছুই বলল না!! আমি মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে চুপ করে আছি আর চা খাচ্ছি।
- - ইরা ওর বন্ধুদের সাথে চলে গেল। আমি বসে আছি পাশের মন্টু ভাইয়ের চায়ের দোকানে। আকাশ আর মন্টু ভাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মন্টু ভাই আমার হাতে বেশি করে দুধ মাখা চা দিয়ে বললেন ' ভাইজান আপনি জাদু জানেন!! ইরা আপাকে এই ভাবে বকা দিলেন আর আপা আপনাকে কিছুই বলল না!! আমি মন্টু ভাইয়ের কথা শুনে চুপ করে আছি আর চা খাচ্ছি।
রাতে বসে আছি ছাদে। আকাশে সুন্দর চাঁদ উঠেছে। চিন্তা করছি ইরার কথা। মেয়েটাকে অনেক বকা দেই কিন্তু মেয়েটা নীরবে আমার সব বকা সহ্য করে! কিন্তু না এত তাড়াতাড়ি ভালবাসি বলব না। আগে আরো একটু কাঁদাবো ' ওর কান্না মাখা চোখ মুখ দেখবো তারপর না হয় ভালবাসি বলব। পকেট থেকে ফোন বার করে ইরাকে কল দেওয়া সাথে সাথে ফোন কল রিসিভ হল। আমি জিজ্ঞেস করলাম ' খাওয়াদাওয়া হইছে কি না? ইরা লক্ষী মেয়ের মতন উত্তর দিল। ইরা আমার কাছ থেকে ভালবাসি তোমায় 'এই কথা শুন চায় কিন্তু আমি কোন উত্তর দিলাম না। আমি চিন্তা করলাম আগে মেয়েটাকে মানুষ করতে হবে তারপর ভালবাসা বাসি হবে।।
তারপর থেকে আমি ইরার উপর একটু বেশি রাগারাগি করতাম। আমার লেখাপড়া ও শেষ হয়ে গেল। ইরা এখন আর মারামারি করে না আমার ভয়ে। কারণ এলাকার কোথাও মারামারি করলে - কেউ না কেউ আমায় ফোন দিয়ে সব বলে দেয় আর তারপর আমি বকা শুরু করি। তবে একদিন তো ওকে কানে ধরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম!! করণ কি সেটা বলি।
তারপর থেকে আমি ইরার উপর একটু বেশি রাগারাগি করতাম। আমার লেখাপড়া ও শেষ হয়ে গেল। ইরা এখন আর মারামারি করে না আমার ভয়ে। কারণ এলাকার কোথাও মারামারি করলে - কেউ না কেউ আমায় ফোন দিয়ে সব বলে দেয় আর তারপর আমি বকা শুরু করি। তবে একদিন তো ওকে কানে ধরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম!! করণ কি সেটা বলি।
- - এই মেয়টা এত পাজি যে এলাকায় নতুন কেউ আসলে তাকে ভাল করে রেগিং করে। একদিন সন্ধ্যায় ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছে। বাসায় অনেক গরম লাগছে। ইরাকে দুবার কল দিলাম কিন্তু রিসিভ করল না! তাই আমি বাসা থেকে বের হয়ে হাটছি। চিন্তা করলাম মন্টু ভাইয়ের দোকানে গিয়ে চা খেয়ে তারপর ইরার বাসার নিচে গিয়ে কল দিব ওকে । আমি হাটছি আর হাটছি। ইলেক্ট্রিসিটি নেই। আশপাশ মোটামুটি অন্ধকার বলা যায়। আমি মন্টু ভাইয়ের দোকানের পাশে এসে দেখি ২টা ছেলে কান ধরে উঠবস করছে!! আমি বুঝতে পারলাম এইটা ইরার কাজ। আমি আড়াল থেকে দেখি ইরা চেয়ারে বসে সিগারেট খাচ্ছে আর ওর কাঁধে টিপে দিচ্ছে অন্য মেয়েরা। মন্টু ভাই গুনছে ছেলেদের কানে ধরে উটবস। তখন একটা মেয়ে ইরাকে বলল ' দোস্ত শান্ত ভাই জানলে তোকে কিন্তু অনেক বকা দিবে। ইরা মেয়েটার কথা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে বলল' কে শান্ত!! আমি শান্তের বস । আমাকে দেখলে শান্তের হাত পা কাঁপে। আমি ওকে ভালবাসি তো কি হইছে? আমি ওকে ভয় পাই না। ইরা মেয়েটার সাথে কথা বলছে ' তখন আমি ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ইয়া আমায় না দেখে কথা বলছে আর বলছেই। ইরার বন্ধু আমায় দেখে ইরাকে বার কার ইশারা দিয়ে বলছে " শান্ত ভাই শান্ত ভাই। ইরা ওর কথা শুনে বলছে কি শান্ত 'এই বলে পিছনে তাকিয়ে দেখে আমি!! ইরার মুখে সিগারেট। মুখ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি আস্তে করে মুখ থেকে সিগারেট নিলাম। ইরা আমার দিকে তাকিয়ে বলে না নামে ইয়ে! ঐ এমনি খাচ্ছি! আমি ইরার এইসব পাগলামি দেখে মনে মনে হাসলে ও সবার সামনে অনেক রাগ করলাম। ইরা আমায় প্রমিস করল এইসব সিগারেটে আর খাবে না। আর রেগিং ও করবে না। আমি মনে করলাম মেয়েটা সত্যি ভাল হয়ে গেছে - কিন্তু না।
দু দিন পর এক বিকালে ইরা বাসার ছাদে বসে সিগারেট খাচ্ছিল বন্ধুদের সাথে তখন আমি গিয়ে দেখলাম এই অবস্থা!! ইরা আমায় হঠাৎ করে দেখে চমকে গেল। আমি দেখি ওর হাতে সিগারেট। আমার অনেক রাগ হলো। আমি ওর মেয়ে বন্ধুদের চলে যেতে বললাম ' ওরা সবাই চলে গেল। আমি ইরার হাত থেকে সিগারেট নিয়ে ফেলে দিলাম। আর কিচ্ছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। আজ আর ইরাকে বকা দিতে পারলাম না কারণ আমি আজকেই জানাতে পারলাম ইরার মা নেই। ইরা যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে তখন ওর মা মারা যান!! ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে মেয়েটা বড় হয়েছে - বাবা অনেক ভালবাসেন ওকে। তাই বেশি আদরে আজ এই অবস্থা। আমি চুপ করে আছি দেখে' ইরা কান ধরে বলল আর খাব না। আমি ইরার কথা শুনে আর কিচ্ছু বললাম না। সোজা বাসায় চলে আসলাম।
রাতে ছাদে বসে বসে চিন্তা করলাম মেয়েটার ভালবাসা দরকার। আমি আর ওকে কষ্ট দিব না। অনেক কাঁদিয়েছি। না আর কাঁদাতে পারব না।
রাতে ছাদে বসে বসে চিন্তা করলাম মেয়েটার ভালবাসা দরকার। আমি আর ওকে কষ্ট দিব না। অনেক কাঁদিয়েছি। না আর কাঁদাতে পারব না।
- - পরের দিন সকালে টেবিলে বসে নাস্তা করছি তখন বাবা এসে আমায় বললেন ' রেডি হয়ে এই ঠিকানায় চলে যাও। তোমার জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করেছি। লেখাপড়া শেষ হয়েছে তোমার - এখন আর বসে থাকলে হবে না। আমি বাবার কথা শুনে নাস্তা করে করে বললাম 'জ্বি আব্বা।।
বাবা আমার হাতে কাড দিয়ে চলে গেলেন। আমি রেডি সেডি হয়ে - বের হলাম বাসা থেকে। তখনি দেখি আমার সামনে বাড়িওয়ালার পাহারাদার কুকুর - রং,সং দাঁড়িয়ে আছে!! কুকুর দুটা হা করে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারলাম আমায় কামড়ানোর ইচ্ছা জেগেছে ওদের মনে। কিন্তু বাবু তোমাদের এই ইচ্ছাপূরণ হবে না!! তোমাদের বোকা বানিয়ে আমি পালাব। আমি রাস্তার পাশে পরে থাকা পাথর হাতে নিয়ে কুকুরের দিকে তাকিয়ে বললাম' রং সং বাবু মাংসটা কুড়িয়ে আনো। এই বলে পাথর ছুড়ে দিলাম দূরে। কিন্তু কুকুর পাথর কুড়াতে না গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে!! আমি বুঝতে পারলাম উনারা মাংস কোনটা আর পাথর কোনটা ভল জানেন!!
তারপর কোন উপায় না পেয়ে দিলাম দৌড়। কুকুর আমি এত ভয় পাই আর সেই কুকুর আমায় এই ভাবে দৌড়ায়। কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে হাতের ফাইল সব নিয়ে ইরার বাসার সামনে এসে পরে গেলাম ইরার বাসার সামনের খোলা ম্যানহোল। আহ কি সুগন্ধ ! আহ আহ। আমার পুরোটা শরীর শেষ। মেন হলের পচা নোংরা সব কিছু আমার গায়ে। কুকুর এখনো ম্যানহোলের উপর থেকে চেঁচাচ্ছে!! আমি বললাম ' ভাই অনেক হইছে এখন চলে যা!! বিকালবেলা প্রমিস তদের চাইনিজে নিয়ে যাব কুকুর ভাই । তখন ইরা এসে কুকুর কয়টাকে তাড়িয়ে দিয়ে আমায় ম্যানহোল থেকে টেনে তুলল। আমার পুরো শরীর কালো হয়ে আছে শুধু দাঁত সাদা!! আমি ইরার দিয়ে তাকিয়ে বললাম - না মানে কুকুর আমায় অনেক ভয় পায় তো? তাই মানে ইয়ে!!
বাবা আমার হাতে কাড দিয়ে চলে গেলেন। আমি রেডি সেডি হয়ে - বের হলাম বাসা থেকে। তখনি দেখি আমার সামনে বাড়িওয়ালার পাহারাদার কুকুর - রং,সং দাঁড়িয়ে আছে!! কুকুর দুটা হা করে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারলাম আমায় কামড়ানোর ইচ্ছা জেগেছে ওদের মনে। কিন্তু বাবু তোমাদের এই ইচ্ছাপূরণ হবে না!! তোমাদের বোকা বানিয়ে আমি পালাব। আমি রাস্তার পাশে পরে থাকা পাথর হাতে নিয়ে কুকুরের দিকে তাকিয়ে বললাম' রং সং বাবু মাংসটা কুড়িয়ে আনো। এই বলে পাথর ছুড়ে দিলাম দূরে। কিন্তু কুকুর পাথর কুড়াতে না গিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে!! আমি বুঝতে পারলাম উনারা মাংস কোনটা আর পাথর কোনটা ভল জানেন!!
তারপর কোন উপায় না পেয়ে দিলাম দৌড়। কুকুর আমি এত ভয় পাই আর সেই কুকুর আমায় এই ভাবে দৌড়ায়। কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে হাতের ফাইল সব নিয়ে ইরার বাসার সামনে এসে পরে গেলাম ইরার বাসার সামনের খোলা ম্যানহোল। আহ কি সুগন্ধ ! আহ আহ। আমার পুরোটা শরীর শেষ। মেন হলের পচা নোংরা সব কিছু আমার গায়ে। কুকুর এখনো ম্যানহোলের উপর থেকে চেঁচাচ্ছে!! আমি বললাম ' ভাই অনেক হইছে এখন চলে যা!! বিকালবেলা প্রমিস তদের চাইনিজে নিয়ে যাব কুকুর ভাই । তখন ইরা এসে কুকুর কয়টাকে তাড়িয়ে দিয়ে আমায় ম্যানহোল থেকে টেনে তুলল। আমার পুরো শরীর কালো হয়ে আছে শুধু দাঁত সাদা!! আমি ইরার দিয়ে তাকিয়ে বললাম - না মানে কুকুর আমায় অনেক ভয় পায় তো? তাই মানে ইয়ে!!
ইরা আমার কথা শুনে হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছে। ইরা হেসে হেসে বলল ' ও কুকুর আপনাকে ভয় পায়!! তাই আপনি ম্যানহোলে বাহ কি যুক্তি!! এই বলে ইরা হাসতে থাকে। আমি কি বলব চিন্তা করে করে মাথায় হাতাচ্ছি। আমি ইরার হাসি দেখে তাকিয়ে আছি ওর মুখের দিকে। আহ কত মায়া মাখা হাসি। এই মেয়েকে কতো বকা দিয়েছি! ইরা যখন হাসছে তখন আমি ইরার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম ' ইরা আমি তোমায় ভালবাসি। আমার কথা শুনে ইরার হাসি বন্ধ হয়ে গেল। আমি নোংরা মাখা জামা কাপড় নিয়ে রাস্তার পাশে থেকে একটা ঘাসফুল নিয়ে এসে ইরার সামনে বসে বললাম' সত্যি অনেক ভালবাসি।। তখন ইরার মুখে ছিল প্রশান্তির মৃদ হাসি।
0 Comments