আমি কি তোমার নাম্বারটা
পেতে পারি?
..
চ্যাটিংয়ের ১ বছরের মাথায় হঠাৎ
করেই ছেলেটি আজ রাইসার
নাম্বার চেয়ে বসল,,,,
.
কিন্তু পর্দার অন্তরালে যে মানুষটি
অনেক আশা নিয়ে রাইসার কাছে
নাম্বার চেয়েছে সে তো আজও
জানতেই পারেনি রাইসা নামের
মেয়েটি জন্ম থেকেই কথা বলতে
পারেনা।আর যে মেয়েটি কথা
বলতে পারেনা সে নাম্বার
দিলেই কি আর না দিলেই কি
..
এদিকে ছেলেটির একের পর এক
মেসেজের কারনে মেসেঞ্জারে
টুং টাং শব্দ বেজেই চলেছে।সেই
একই আকুতি বার বার ওপাশ থেকে
ভেসে আসছে'' প্লিজ নাম্বারটা
দাও''।কিন্তু রাইসা যে নিরুপায়।যে
মেয়ে কথা বলতে পারবেনা সে
নাম্বার দিবে কোন আশায়।রাইসা
মেসেঞ্জারে এক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে,,,,,ছেলেটি আবার
হয়ত কিছু লিখছে যা মেসেঞ্জারে
ঢেউ খেলানো সাংকেতিক চিহ্ন
দেখেই বোঝা যাচ্ছে।রাইসা যে
কিছু বলবে সে ভাষা তার জানা
নেই।সেকি না করবে, না সে তাও
করতে পারছেনা।কিছু না বলেই
ফেসবুক থেকে বের হয়ে আসল।
..
আর ওপারের ছেলেটা একের পর এক
মেসেজ করে ইনবক্সটা ভারি করে
তুলছে।কিছুকক্ষন পর রাইসার নামের
পাশে জ্বলে থাকা সবুজ বাতিটা
হঠাৎ করেই নিভে গেল।অতঃপর
একরাশ হতাশা এবং অভিমান নিয়ে
ছেলেটিও ফেসবুক থেকে বের হয়ে
গেল।কিন্তু ছেলেটি আজও জানতে
পারলনা যে রাইসা নামের
মেয়েটি কখনই কথা বলতে
পারবেনা।
..
ছেলেটির নাম আবির।লেখাপড়া
শেষ করে এখন একটা কোম্পানীতে
ভাল পদে চাকরি করছে।আর
মেয়েটির নাম রাইসা।ইন্টার
সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী।কোন
একটা পেইজের স্ট্যাটাসে
কমেন্টের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়।
প্রথমে ঝগড়া দিয়ে শুরু হলেও এখন
তাদের সম্পর্কটা অনেক দূর
এগিয়েছে।বলা যায় ছেলেটি
রাইসার উপর অসম্ভবভাবে দুর্বল হয়ে
পড়ে।এদিকে রাইসারও একই অবস্থা।
সেও কখন যে আবিরের মায়ায়
জড়িয়ে পড়ে বুঝতেই পারেনি।
কিন্তু কখনই সে তার মনের কথা
আবিরকে বলেনি।বলেই বা কি লাভ
এরকম একটা বোবা মেয়েকে আবির
কেন কেউ ই মেনে নিবেনা।ফলে
আর কখনো বলা হয়ে উঠেনি রাইসার
মনের কথাগুলি।
আর হয়ত অব্যক্তই থেকে যাবে
রাইসার মনের কথাগুলো যা কখনো
আবিরকে বলা হয়নি।
..
এরপর দুই দিন হয়ে গেল অথচ রাইসা আর
ফেসবুকে আসেনি।আবির ভেবে
পায় না যে মেয়ে প্রতি ঘন্টায়
ঘন্টায় আবিরের খোজ নিত আজ সেই
মেয়ে দুই দিন হয়ে গেল অথচ
অনলাইনে
আসেনা।আবির এটাও ভাবতে
থাকে রাইসার কিছু হল না তআবার।
আবিরও থাকতে পারছেনা
রাইসার সাথে কথা না বলে।
নিজেই নিজেকে বার বার গালি
দিতে লাগল।কি দরকার ছিল
নাম্বার চাওয়ার?আগে তো প্রতি
ঘন্টায় ঘন্টায় তাদের চ্যাট হত আর
এখন তো একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল।
এরই মাঝে আবির রাইসাকে অনেক
গুলা মেসেজ করে ফেলেছে।করবেই
না কেন আবির যে রাইসাকে অনেক
আগে থেকেই ভালবেসে
ফেলেছে।শুধু ভালবাসি কথাটা
রাইসাকে বলার বাকি ছিল,,,,,,কিন্তু
আজ তার মনের কথা শেষ একটি
মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে
দিয়েই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে
ফেসবুক থেকে বের হয়ে আসল।
..
এদিকে রাইসারও একই অবস্থা।
এতদিনে আবিরও যে তার মনে
জায়গা করে নিয়েছে।কিন্তু যখন
আবির জানতে পারবে রাইসা
নামের মেয়েটি কথা বলতে
পারেনা তখন কি হবে?পরে কষ্ট
পাওয়ার চেয়ে আগে কষ্ট পাওয়াই
শ্রেয়।কিন্তু রাইসা কি করবে সেও
যে আবিরকে ছাড়া থাকতে
পারছেনা।আর আবিরও যে
রাইসাকে ভালবাসে সেটা
রাইসাও এতদিনে বুঝে গেছে।কারন
আবির যে রাইসাকে ভালবাসে তা
সে বিভিন্ন ভাবে বুঝানোর
চেষ্টা করছে।আর মেয়েদের যে সব
কিছু বুঝেও না বুঝার ভান করতে হয়।
আর আবিরের মেসেজের শেষে
সবসময় একটা লাভ ইমু দিয়ে রাখত।হয়ত
ভালবাসার তারই একটা
বহিঃপ্রকাশের নমুনা।
..
আজ তিন দিন পর রাইসা ফেসবুকে
আসল।ফেসবুকে এসেই আবিরের
প্রোফাইলে দেওয়া পিক গুলো
দেখতেছিল।আবির দেখতে অসম্ভব
রকমের সুন্দর,হ্যান্ডসাম আর যথেষ্ট
ম্যাচিউর।রাইসা মনে মনে ভাবতে
লাগল আসলেই এই ছেলেটির পাশে
রাইসা নামের বোবা মেয়েটি
সত্যিই বড্ড বেমানান।
..
রাইসা আবিরের মেসেজ গুলা এক
এক করে দেখতে লাগল।শেষের
মেসেজটি যখন দেখল, রাইসা একটু ও
বিচলিত হয়নি।আবির যে তাকে
আগে থেকেই ভালবাসে তবুও
আজকে রাইসা সম্পুর্ন নিশ্চিত হল যে
আবির তাকে সত্যিই ভালবাসে।আর
এটাই হয়ত হবার ছিল।আবিরের
নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলতে
দেখে রাইসা আবিরকে মেসেজ
দিল,,,,
..
রাইসা-কেমন আছো?
আবির-আমার প্রশ্নের উত্তর পাইনি
এখনো
রাইসা-তোমার সাথে আমার কিছু
কথা আছে
আবির-আগে আমার প্রশ্নের উত্তর
দাও
রাইসা-আগে আমার কথা শুনতে হব
তোমাকে।
আবির-কি কথা বল?
রাইসা-এখানে নয় তোমার সাথে
মিট করতে চাই।
আবির-কখন কোথায়?....অনেকটা খুশি
হয়েই রাইসাকে প্রশ্নটা করল।
রাইসা-কাল সকাল ১০ টায় মহিলা
কলেজের সামনে চলে এসো।
আবির-ঠিক আছে,,,কিন্তু আমার
উত্তরটা?
রাইসা-সেখানেই পাবে।
আবির-ঠিক আছে সময় মত এসে
যাবো।
..
সেই রাত আর আবিরের কিছুতেই ঘুম
আসছেনা।আবিরের মাঝে এক
অস্থিরতা কাজ করতে থাকল।কখন
রাত শেষ হবে আর রাইসাকে
দেখবে।যদিও রাইসাকে আগেই
দেখেছে কিন্তু কাল সামনা
সামনি দেখবে ভাবতেই তার
অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছে।আজকে
আবিরের কাছে রাতটাও যেন
আগের থেকে অনেক বড় হয়ে গেছে।
অনেক রাত পর্যন্ত বিছানায় এপাশ
ওপাশ করে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে
বুঝতেই পারেনি,,,,, ঘুম ভাঙ্গল
মোয়াজ্জিনের আযানের সুর শুনে।
..
আবির এখন রাইসার কলেজের
সামনে দাড়িয়ে আছে।আবির আর
রাইসার বাসার দূরত্ব খুব বেশি না।
মাত্র এক কিলোমিটার।আর এখানে
একটি মাত্রই গার্লস কলেজ যা
চিনতে আবিরের একটুও কষ্ট হয়নি।
বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর
দেখতে পেল একটি মেয়ে তার
দিকেই এগিয়ে আসছে,,,আবির
মেয়েটিকে দেখেই চিনে
ফেলে।মেয়েটি আর কেউ না
রাইসা।কারন ফেসবুকে রাইসাকে
আগেই দেখে নিয়েছে।দেখতে
দেখতে রাইসা আবিরের খুব কাছে
চলে আসে
কেমন আছো?,,,,কিন্তু রাইসা কোন
উত্তর দিতে পারেনি।হাতের
ইশারায় রাইসা একটা রিক্সা
ডাকল।রাইসা আবিরকে রিক্সায়
উঠতে ইশারা করে।
..
রিক্সায় পাশাপাশি দুজন বসে
আছে।কারো মুখে কোন কথা নেই।
হঠাৎ করেই আবির লক্ষ করল রাইসা
কোন কথা বলছেনা।
..
আজ রাইসাকে খুব সুন্দর লাগছে।
বাতাসে চুল গুলো বার বার মুখটা
ঢেকে যাচ্ছে।আর রাইসা ততবারই
চুল গুলো কানের মাঝে গুজে
দিচ্ছে।এক অপূর্ব দৃশ্য।কিন্তু আবিরের
কিছু ভাল লাগছেনা।কত আশা
নিয়ে এসেছে আজ রাইসার সাথে
কথা বলবে,মনের কথা গুলো আজ
সামনা সামনি বলে দিবে কিন্তু
মেয়েটা যে কথাই বলছেনা।
..
রাইসা আর আবির পাশাপাশি
পার্কে বসে আছে।কারো মুখে
কোন কথা নেই।নীরবতার খোলস
ছেড়ে আবিরই বলল,,,,কেমন আছো?
কিন্তু রাইসা কোন কথাই বলছেনা।
হঠাৎ আবির খেয়াল করল ব্যাগ
থেকে রাইসা কিছু কাগজের টুকরা
বের করল।কিছু কাগজের টুকরা
আবিরের হাতে ধরিয়ে দিল।তার
পর কেমন আছো?বলেই একটি কাগজের
টুকরা আবিরকে দিল,,,,আবির তা
দেখে অবাক।হয়ত আবির ভেবেছিল
রাইসা তার সাথে দুষ্টুমি করছে।
কিন্তু ভুলটা ভাঙ্গতে বেশি সময়
লাগেনি যখন রাইসা আরেকটি
কাগজের টুকরায় লিখল,,,,কি হল
বোবা বলে আমার সাথে কথা বলা
যাবেনা?
আবির এ কথাটি শুনার জন্য মোটেও
প্রস্তুত ছিলনা।কি বলবে?কিছু বলার
ভাষা যে হারিয়ে গেছে।
..
আবির-ভাল।তুমি কেমন আছো?
রাইসা-আমার আবার ভাল থাকা
.
আবির নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে।নীরব
থাকতে দেখে রাইসা আরেকটি
কাগজের টুকরো আবিরের দিকে
এগিয়ে দিল
..
রাইসা-এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছো
কেন সেদিন নাম্বার দেইনি?
আবির-হুম
রাইসা-এরপরেও আমার প্রতি
তোমার আগ্রহ থাকবে বলে আমার
মনে হয় না।
আবির-আমাকে এখন যেতে হবে
রাইসা এখন বুঝে গেছে তার প্রতি
এখন আর আবিরের কোন আগ্রহ নেই।
ভাবতেই খুব কষ্ট হচ্ছে। আগ্রহ না
থাকারই কথা।বোবা মেয়েকে কে
ই বা চায় তার জীবন সঙ্গী করতে।
ঠিক আছে যাও,,,,আবিরকে বলল।
এছাড়া যে রাইসার আর বলার কিছু
নেই।আবিরকে ধরে রাখার কোন
সামর্থ্য যে রাইসার নেই।আবির চলে
গেল রাইসাকে একা রেখেই।
রাইসা বসে থেকে আবিরের চলে
যাওয়া দেখছে।যতক্ষন না আবির
তার দৃষ্টির আড়াল হচ্ছিল ততক্ষন তার
পানে চেয়ে থাকল।একটা সময় আবির
রাইসার দৃষ্টির আড়াল হয়ে যায়।
..
রাইসা একা একাই বাসায় চলে
আসে।ফ্রেশ হয়ে যখন ফেসবুকে ঢুকল
তখন আর নিজের চোখকে বিশ্বাস
করতেও কষ্ট হচ্ছিল।কারন আবির যে
তাকে ব্লক করেছে।খুব কষ্টে রাইসা
নিজেকে সামলে নেয়।রাইসা
নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতে
থাকে।কেন সৃষ্টিকর্তা তাকে
এভাবে পৃথিবীতে পাঠালেন।এর
পর কতকক্ষন আবিরের সাথে
কাটানো মেসেজগুলো দেখে
আইডি ডিএ্যাক্টিভেট করে চলে
আসে।সিদ্ধান্ত আর কখনো ফেসবুকে
যাবেনা।
..
গল্পটা হয়ত এখানেই শেষ হয়ে
যেতে পারত কিন্তু না গল্পটা
এখানেই শেষ
হয়ে যায়নি।
..
প্রায় একমাস পর কাকতালীয়ভাবে
রাইসার জন্য বিয়ের সম্বন্ধ আসে।
সেদিন রাইসা বাসায় ছিল না।
কলেজে ছিল।রাইসার বাবা মা
ভাবতেই পারেনি তাদের মেয়ের
জন্য বিয়ের সম্বন্ধ আসবে।তারা
আনন্দে আত্নহারা হয়ে পড়ে।ব্যস্ত
হয়ে পড়ে অতিথি আপ্যায়নে।
..
রাইসা কলেজ থেকে এসে দেখল
বাসায় অনেক লোকের সমাগম।
মামা, খালা, মামি সবাই আজ
তাদের বাসায়।রাইসা যখন শুনল আজ
তাকে দেখতে এসেছে কথাটা
শুনেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।যদিও
খুশি হওয়ার কথা ছিল এই ভেবে
যে,এমন মেয়ের জন্য ঘর এসেছে এটাই
অনেক।কিন্তু রাইসার মন যে পড়ে
আছে আবিরের কাছে।
..
অবশেষে রাইসাকে সাজিয়ে
গুজিয়ে সবার সামনে আনা হল।
পাত্রপক্ষের সবারই রাইসাকে
দেখে পছন্দ হয়ে যায়।যার কারনে
আজই বিয়েটা পড়িয়ে রাখতে চান
কাল বিলম্ব না করেই।রাইসার বাবা
মা খুশিতে কেদেই ফেলে।এমন
মেয়েকে কেউ এত সহজে মেনে
নিবে ভাবতেই পারেনি।অতঃপর
রাইসাকে নিয়ে ঘরে যাওয়া হল।
কিন্তু রাইসাকে যে বিয়ে করতে
রাজি হল তাকে একবার দেখতে
চায়।রাইসার মা বলল ছেলে নাকি
তাদের ছাদে তার জন্য অপেক্ষা
করছে।রাইসা চলে গেল ছাদে।
..
রাইসা ছাদের এক কোণে একটি
ছেলেকে আকাশ পানে তাকিয়ে
থাকতে দেখল।রাইসা যখন
ছেলেটির কাদে হাত রাখল তখন
ছেলেটি রাইসার দিক ফিরে
তাকাল।কিন্তু রাইসা একি দেখছে
তার চোখ যে বিশ্বাস করতে
পারছেনা।এ যে আবির আর কেউ নয়।
এমন একটা সারপ্রাইজ তার জন্য
অপেক্ষা করছিল তা সে নিজের
চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে
পারছেনা।এভাবে কতক্ষন আবিরের
দিকে চেয়ে থাকল তা সে নিজেই
জানেনা।খুশিতে চোখ দুটো টলমল
করছে পানিতে।আবির রাইসার
চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।
রাইসাকে আজ খুব কাছ থেকে
দেখছে আবির।কি মায়াবী
নিষ্পাপ চেহারা।হঠাৎ করে আবির
কিছু কাগজের টুকরা রাইসার দিকে
বাড়িয়ে দিল,,,কেমন আছো???একটি
কাগজের টুকরোয় লিখল।
..
রাইসা-ভাল।তুমি কেমন আছো?
আবির-ভাল।আমাকে বিয়ে করতে
তোমার কোন আপত্তি আছে?
রাইসা-কিন্তু আমিতো..রাইসাকে
আর কিছু বলতে দেয়না আবির।তার
আগেই আলতো করে রাইসার মুখের
উপর হাত রাখে।
আবির-সব কিছু আমার উপর ছেড়ে
দাও।বািকটা আমি সামলে নেব।
বিনিময়ে তোমাকে চাই।
রাইসা-সত্যিই কি ভালবাস আমায়?
আবির-বাসি বলেই তো আজ এ পর্যন্ত
এসেছি।
রাইসা-তাহলে সেদিন কেন
এভাবে চলে গিয়েছিলে।
আবির-সেদিন বাসায় গিয়েই
বাবা মাকে তোমার কথা বলি।
প্রথমে অমত থাকলেও পরে আমার
সুখের কথা বলে মেনে নেয়।
রাইসা-কিন্তু আমার মনের অব্যক্ত
কথা গুলো কি করে বুঝাব?
আবির-আমি ঠিকই তোমার মনের
কথা গুলি বুঝে নিব।শুধু সারাজীবন
পাশে থেকো।
রাইসা-কখনো কষ্ট দিবেনা তো
আবির-কখনো না
রাইসা-অনেক ভালবাসতে হবে
আমাকে
আবির-আমার সীমাহীন ভালবাসা
কেবল তোমার জন্যই
রাইসা-তাহলে আমিও রাজি
বিয়ে করতে
আবির-তাহলে একবার বল
রাইসা-কি বলব।
আবির-ভালবাসি এক বার বল
রাইসা-ভালবাসি, ভালবাসি,
ভালবাসি
বলেই আবিরকে জড়িয়ে ধরল।আবির ও
রাইসাকে তার বাহুডোরে জড়িয়ে
নিল।
,
অবশেষে শুরু হল ভালবাসার নতুন গল্প