পাশের বাড়ির ছেলেটা পঞ্চাশ হাজার টাকার বেতনের চাকুরী পেয়েছে।আর প্রতি
পরিক্ষায় ছেলেটার রেজাল্ট তো দেখার মত!মাশাল্লাহ।তোর কি মনে আছে যেদিন
ছেলেটা চাকুরী পেয়েছিলো সেদিন ছেলেটির মা, বাবা পুরো পাড়ায় মিষ্টি বিলিয়ে
দিয়েছিলো?নিয়মমাফিক আমাদের বাড়িতেও আমাদের চার জনের জন্য চারটে মিষ্টি দিতে
এসেছিলো ছেলেটির মা।তোর কি মনে আছে সেদিন তুই নির্লজের মত চারটে মিষ্টি
থেকে দুটি মিষ্টি গপাগপ খেয়ে ফেলেছিলি?হুম আমি তোর বোনের জন্য রাখা
মিষ্টিটারই কথা বলছি।কতটা নির্লজ্জ হতে পারিস তুই সেদিনই আমি
বুঝেছিলাম।তোকে সেদিন দেখে যতটা না আমার লজ্জা লেগেছে ঠিক তার দ্বিগুণ
ছেলেটির মাকে দেখে আমার ঈর্ষার দানাও বেধেছিলো আমার এই মনে।আমি সেদিন
শুনেছিলাম একজন মা হয়ে আরেক মায়ের মুখে তার নিজের ছেলের সাফল্যের কথা।আমি
দেখেছিলাম একজন মা হয়ে আরেকজন মায়ের চোখে ছেলের জন্য গর্বে চোখের কোনে জল
চলে আসা।আর তুই!জীবনের প্রতিটি পরিক্ষায় কোনরকম টেনেটুনে পাস করে
এসেছিস।চাকুরী করার বয়সে বাবার গাড়ে বসে বসে অন্ন গিলছিস।ছোটবনের কাছ থেকে
টাকা নিয়ে রাস্তায় বসে বসে বিড়ি সিগারেট ফুঁকিস। ছিহ! তোর কি বিন্দুমাত্র
লজ্জা করেনা বোনটার থেকে দশ বছরের বড় হয়েও ফকিরের মত হাত পাততে?তোর মধ্যে
কি লজ্জার ছিটেফোঁটাও কি বাকি নেই? আর কত শুনবো মানুষের ছেলের সাফল্যের
কথা?আর কত খাবো মানুষের ছেলের চাকুরীর জন্য বিলিয়ে দেয়া মিষ্টি?অপদার্থের
মত ঘরে বসে বসে আর কত তোর অসুস্থ বাপকে জ্বালাবি?এবার একটু আমাদের রেহাই দে
বাবা, রেহাই দে।
""পাশের বাড়ির ছেলেটার পিছনে ছোটবেলা থেকেই একগাদা শিক্ষক রাখা হয়েছিলো প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। একগাদা বই আর নতুন নতুন স্কুল ড্রেসও পেয়েছিলো ছেলেটি সময়মত। একটি কলমের নিভ ভেঙ্গে গেলে ছেলেটির জন্য তার বাবা নিয়ে আসতো গোটাকয়েক কলমের ডজন। বাজারের অসচ্ছ দিস্তা খাতায় ছেলেটির লিখা খারাপ হতো বলে,পরেরদিনই ছেলেটির বাবা ছেলেটির জন্য নিয়ে এসেছিলো কয়েক শতেক প্যাড খাতা।টিফিনে স্কুল ছুটির পূর্বেই ছেলেটের মা স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো ছেলেটির জন্য চকচকে নতুন কালো কালারের প্রাডো গাড়ি নিয়ে।আর আমার বেলায়?
"প্রাইভেট শিক্ষক তো দুরে থাক,ভোর না হতেই বাবার চায়ের দোকানে গিয়ে আমায় বসতে হতো।বই প্রয়োজন?সামনের মাসে কিনে দিবেন বলে বলে কত মাস যে পার করিয়েছিলেন সেই হিসেব টাও না হয় নাইবা দিলাম।কলমের নিভ ভেঙ্গে গেছে?আরেকটি কলমের প্রয়োজন?ক্লাস ছুটি হওয়ার পর ক্লাসের ছেলে মেয়েদের মেঝেতে পড়ে যাওয়া কলম খোঁজার অভ্যাস তো আমার আছেই।কত মাস যে ঘুরেছিলাম আপনাদের পিছনে একটি প্যাড খাতার জন্য সেই হিসেব টা কি মনে আছে শ্রদ্ধেয় মাতা? স্কুল ছুটির পর পাশের বাসার ছেলেটির জন্য প্রাডো গাড়ি রাখা থাকতো?আর আমার জন্য?আমার তো সামান্য গাড়ি ভাড়া পাচ টাকাই মিলতো না।তাহলে কেন পাশের বাড়ির ছেলেটির সাথে আমার হিসেব?কেন শোনাতে হবে আমায় পাশের বাড়ির অমুক হেন তেন করেছে?কেন?????
""উপরের কথা গুলো এক নিমিষেই ইচ্ছে করছিলো আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার মাতা জননী কে বলে দিতে।পৃথিবীর প্রতি সব অভিমান এক ঝলকেই শেষ করে দিতে।পরক্ষণেই থেমে গেলাম,ছোট বেলায় এক শিক্ষক মহাশয় আমায় খাতায় লিখতে বলেছিলেন "অর্থই নাকি অনর্থের মুল""
আমিও ততক্ষণাত এক এক লাইন বাড়িয়ে লিখেছিলাম "অর্থের জোরেই চলে সব কলেজ স্কুল"
"শিক্ষক মহাশয় সেদিন আমায় তেলে বেগুনে ভেঁজেছিলেন।আর আমার পাশে বেয়াদব নামের টাইটেল টা!সেটা কি আর বলতে হয়?সেদিন পুরো স্কুলেই আমার নামের পাশে লাগানো টাইটেল চারিপাশে মোহমোহ করছিলো"অনিমেষ বেয়াদব"।সেই থেকেই ক্ষানিকটা শিক্ষে হয়েছে।অন্তত এটা বুঝেছিলাম "মেধা বিহীন আমার মত ছাত্রের আগ বাড়িয়ে কিছু বলাটাও দোষের কিছু।
""মানি আমি একটা অপদার্থ।তবে আমি কি সাধে ঘরে বসে থাকি?তা তো না।কত ভাবেই তো একটা চাকুরীর চেষ্টা করেছি।অথচ সবার কাছ থেকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।"স্কুল, কলেজ,ভার্সিটির রঙিন সার্টিফিকেট গুলো শুধু মাত্র কাগজ কলমেই রঙিন,আর আমার জীবনে রঙ বিহীন।জন্ম হবার পর থেকেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে তুমি পুরুষ।তোমার কাধে রয়েছে অনেক দায়িত্ব।বোনের স্কুলের টিফিনের টাকা থেকে শুরু করে মুচির দোকানের জুতা সেলানোর পাচ টাকাটাও তোমাকেই দিতে হবে।পাশের বাড়ির ছেলেটা বিশাল বড় কিছু করে ফেলেছে।তোমাকেও ওই ছেলেকে ডিঙিয়ে তার উপরে কিছু করতে হবে,কারন তুমি পুরুষ।মাঝে মাঝে নিজের তারকার ন্যায় সচ্ছ সপ্ন গুলো তোমায় গুটিয়ে ফেলতে হবে পরিবারের সার্থে,কারন তুমি পুরুষ।অথচ দিন শেষে তোমার মত পুরুষের জন্য তথাকথিত বিশিষ্ট জনদের একটাই বানী"চাকুরী কি এত সহজ রে বাবা,একটু সবুর কর"।
"পাশের বাড়ির ছেলেটার চাকুরী পাওয়ার মিষ্টি তুমি গপাগপ খেয়েছিলে, এটা সমাজ তোমায় দেখে নির্লজ্জ উপাধি দিয়েছিলো। কিন্তু সমাজ কি দেখেছিলো গপাগপ মিষ্টি খাওয়ার আড়ালে কতটা তিক্ততা ছিলো সেই মিষ্টিতে?গভীর রাতে শুনশান নীরবতায় তুমি যখন তিন টাকা দামের ডার্বি শলাকায় নিজের সব দির্ঘশ্বাস ছেড়ে কল্পনা করে রেখেছিলে "একটা চাকুরী পেলেই বাবার জন্য নতুন একটা পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি,মায়ের জন্যও একটা নতুন শাড়ি,আর বোনটা সেই কবে থেকে একটা ল্যাপটপের জন্য ঘেনঘেন করছে,সুন্দর দেখে একটা ল্যাপটপ প্রথম মাসের বেতন পেলেই কিনে দেবে।সমাজ কি তোমার সেই কল্পনা দেখেছিলো তোমার মত করে?না দেখেনি,কারন তুমি একটা অপর্দাথ। অপর্দাথের কল্পনা গুলো অপর্দাথের মতই হয় রঙচটা।যা দেখার বিন্দুমাত্র সময় নেই কারো।
"একটা ভালো চাকুরী পেলেই পাশের বাড়ির ছেলেটার মত আমিও আনন্দিতা কে নিয়ে একশো পঞ্চাশ সিসি বাইকের পিছনে বসিয়ে নিস্তব্ধ নিঝুম ল্যাম্পপোস্টের নিচ দিয়ে সা সা করে উড়ে যেতাম।কখনো বা ওর পছন্দের এক পাতা নীল রঙা টিপ হাতে নিয়ে ওর সামনে উপস্থিত হয়ে বলতাম "দেখতো আনন্দিতা কি এনেছি তোমার জন্য?এদিকে এসো তোমার কপালে আজ অর্ধ চন্দ্রিমা একে দেব।অথবা একটা নীল শাড়ি পড়িয়ে কোন এক পার্কের বেঞ্চে বসে দুজনে দুজনার হাতে হাত রেখে ওর চোখে চোখে বলতাম,
"সখি ভালোবাসিবে কি মোরে?
রাখিবো তোমায় হৃদয়ের যাতনে,
বেলা অবেলায় করিবো তোমার বিরক্ত,
ভালোবাসার মায়াজালে করিবো তোমায় সিক্ত,
শুধু একটিবার বলো ভালোবাসি,
বকুল তলায় বসিয়া,বকুলের মালা গাঁথিয়া পার করিয়া দেব আজীবন পাশাপাশি,, "
"এমনটা শুধু ভাবনাতেই সুন্দর,বাস্তবে আমার মত অপর্দাথের জন্য নয়।"মেধা নেই,কোটা নেই,অর্থ নেই,বাবাকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করার জন্য সাধ্য নেই,মায়ের মমতা মাখা চোখের পানি উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই,বোনের সামান্য আবদার টুকু মেটানোর মুরিদ নেই,প্রেমিকার বিয়ে ঠেকানোর মত কারণ নেই,সমাজের মানুষের চোখে হিরো হওয়ার জন্য একটা চাকুরী নেই,
""ধিক্কার অপদার্থ আমি ধিক্কার""
""পাশের বাড়ির ছেলেটার পিছনে ছোটবেলা থেকেই একগাদা শিক্ষক রাখা হয়েছিলো প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। একগাদা বই আর নতুন নতুন স্কুল ড্রেসও পেয়েছিলো ছেলেটি সময়মত। একটি কলমের নিভ ভেঙ্গে গেলে ছেলেটির জন্য তার বাবা নিয়ে আসতো গোটাকয়েক কলমের ডজন। বাজারের অসচ্ছ দিস্তা খাতায় ছেলেটির লিখা খারাপ হতো বলে,পরেরদিনই ছেলেটির বাবা ছেলেটির জন্য নিয়ে এসেছিলো কয়েক শতেক প্যাড খাতা।টিফিনে স্কুল ছুটির পূর্বেই ছেলেটের মা স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো ছেলেটির জন্য চকচকে নতুন কালো কালারের প্রাডো গাড়ি নিয়ে।আর আমার বেলায়?
"প্রাইভেট শিক্ষক তো দুরে থাক,ভোর না হতেই বাবার চায়ের দোকানে গিয়ে আমায় বসতে হতো।বই প্রয়োজন?সামনের মাসে কিনে দিবেন বলে বলে কত মাস যে পার করিয়েছিলেন সেই হিসেব টাও না হয় নাইবা দিলাম।কলমের নিভ ভেঙ্গে গেছে?আরেকটি কলমের প্রয়োজন?ক্লাস ছুটি হওয়ার পর ক্লাসের ছেলে মেয়েদের মেঝেতে পড়ে যাওয়া কলম খোঁজার অভ্যাস তো আমার আছেই।কত মাস যে ঘুরেছিলাম আপনাদের পিছনে একটি প্যাড খাতার জন্য সেই হিসেব টা কি মনে আছে শ্রদ্ধেয় মাতা? স্কুল ছুটির পর পাশের বাসার ছেলেটির জন্য প্রাডো গাড়ি রাখা থাকতো?আর আমার জন্য?আমার তো সামান্য গাড়ি ভাড়া পাচ টাকাই মিলতো না।তাহলে কেন পাশের বাড়ির ছেলেটির সাথে আমার হিসেব?কেন শোনাতে হবে আমায় পাশের বাড়ির অমুক হেন তেন করেছে?কেন?????
""উপরের কথা গুলো এক নিমিষেই ইচ্ছে করছিলো আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার মাতা জননী কে বলে দিতে।পৃথিবীর প্রতি সব অভিমান এক ঝলকেই শেষ করে দিতে।পরক্ষণেই থেমে গেলাম,ছোট বেলায় এক শিক্ষক মহাশয় আমায় খাতায় লিখতে বলেছিলেন "অর্থই নাকি অনর্থের মুল""
আমিও ততক্ষণাত এক এক লাইন বাড়িয়ে লিখেছিলাম "অর্থের জোরেই চলে সব কলেজ স্কুল"
"শিক্ষক মহাশয় সেদিন আমায় তেলে বেগুনে ভেঁজেছিলেন।আর আমার পাশে বেয়াদব নামের টাইটেল টা!সেটা কি আর বলতে হয়?সেদিন পুরো স্কুলেই আমার নামের পাশে লাগানো টাইটেল চারিপাশে মোহমোহ করছিলো"অনিমেষ বেয়াদব"।সেই থেকেই ক্ষানিকটা শিক্ষে হয়েছে।অন্তত এটা বুঝেছিলাম "মেধা বিহীন আমার মত ছাত্রের আগ বাড়িয়ে কিছু বলাটাও দোষের কিছু।
""মানি আমি একটা অপদার্থ।তবে আমি কি সাধে ঘরে বসে থাকি?তা তো না।কত ভাবেই তো একটা চাকুরীর চেষ্টা করেছি।অথচ সবার কাছ থেকেই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।"স্কুল, কলেজ,ভার্সিটির রঙিন সার্টিফিকেট গুলো শুধু মাত্র কাগজ কলমেই রঙিন,আর আমার জীবনে রঙ বিহীন।জন্ম হবার পর থেকেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে তুমি পুরুষ।তোমার কাধে রয়েছে অনেক দায়িত্ব।বোনের স্কুলের টিফিনের টাকা থেকে শুরু করে মুচির দোকানের জুতা সেলানোর পাচ টাকাটাও তোমাকেই দিতে হবে।পাশের বাড়ির ছেলেটা বিশাল বড় কিছু করে ফেলেছে।তোমাকেও ওই ছেলেকে ডিঙিয়ে তার উপরে কিছু করতে হবে,কারন তুমি পুরুষ।মাঝে মাঝে নিজের তারকার ন্যায় সচ্ছ সপ্ন গুলো তোমায় গুটিয়ে ফেলতে হবে পরিবারের সার্থে,কারন তুমি পুরুষ।অথচ দিন শেষে তোমার মত পুরুষের জন্য তথাকথিত বিশিষ্ট জনদের একটাই বানী"চাকুরী কি এত সহজ রে বাবা,একটু সবুর কর"।
"পাশের বাড়ির ছেলেটার চাকুরী পাওয়ার মিষ্টি তুমি গপাগপ খেয়েছিলে, এটা সমাজ তোমায় দেখে নির্লজ্জ উপাধি দিয়েছিলো। কিন্তু সমাজ কি দেখেছিলো গপাগপ মিষ্টি খাওয়ার আড়ালে কতটা তিক্ততা ছিলো সেই মিষ্টিতে?গভীর রাতে শুনশান নীরবতায় তুমি যখন তিন টাকা দামের ডার্বি শলাকায় নিজের সব দির্ঘশ্বাস ছেড়ে কল্পনা করে রেখেছিলে "একটা চাকুরী পেলেই বাবার জন্য নতুন একটা পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি,মায়ের জন্যও একটা নতুন শাড়ি,আর বোনটা সেই কবে থেকে একটা ল্যাপটপের জন্য ঘেনঘেন করছে,সুন্দর দেখে একটা ল্যাপটপ প্রথম মাসের বেতন পেলেই কিনে দেবে।সমাজ কি তোমার সেই কল্পনা দেখেছিলো তোমার মত করে?না দেখেনি,কারন তুমি একটা অপর্দাথ। অপর্দাথের কল্পনা গুলো অপর্দাথের মতই হয় রঙচটা।যা দেখার বিন্দুমাত্র সময় নেই কারো।
"একটা ভালো চাকুরী পেলেই পাশের বাড়ির ছেলেটার মত আমিও আনন্দিতা কে নিয়ে একশো পঞ্চাশ সিসি বাইকের পিছনে বসিয়ে নিস্তব্ধ নিঝুম ল্যাম্পপোস্টের নিচ দিয়ে সা সা করে উড়ে যেতাম।কখনো বা ওর পছন্দের এক পাতা নীল রঙা টিপ হাতে নিয়ে ওর সামনে উপস্থিত হয়ে বলতাম "দেখতো আনন্দিতা কি এনেছি তোমার জন্য?এদিকে এসো তোমার কপালে আজ অর্ধ চন্দ্রিমা একে দেব।অথবা একটা নীল শাড়ি পড়িয়ে কোন এক পার্কের বেঞ্চে বসে দুজনে দুজনার হাতে হাত রেখে ওর চোখে চোখে বলতাম,
"সখি ভালোবাসিবে কি মোরে?
রাখিবো তোমায় হৃদয়ের যাতনে,
বেলা অবেলায় করিবো তোমার বিরক্ত,
ভালোবাসার মায়াজালে করিবো তোমায় সিক্ত,
শুধু একটিবার বলো ভালোবাসি,
বকুল তলায় বসিয়া,বকুলের মালা গাঁথিয়া পার করিয়া দেব আজীবন পাশাপাশি,, "
"এমনটা শুধু ভাবনাতেই সুন্দর,বাস্তবে আমার মত অপর্দাথের জন্য নয়।"মেধা নেই,কোটা নেই,অর্থ নেই,বাবাকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করার জন্য সাধ্য নেই,মায়ের মমতা মাখা চোখের পানি উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই,বোনের সামান্য আবদার টুকু মেটানোর মুরিদ নেই,প্রেমিকার বিয়ে ঠেকানোর মত কারণ নেই,সমাজের মানুষের চোখে হিরো হওয়ার জন্য একটা চাকুরী নেই,
""ধিক্কার অপদার্থ আমি ধিক্কার""
0 Comments